শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১০

শেয়ার বাজার সম্পর্কে জানুন

যারা নতুন সবে মাত্র ব্যবসা শুরু করেছেন তাদের জন্য। কারন আমরা ভালমন্দ বিচার না করে শেয়ার কিনি পরে তা লোকসান দিয়ে বি্ক্রি করতে হয় ফলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যায়। তখন চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া কিছুই থাকে না । যদি আমরা শেয়ার কেনার আগে একটু সচেতন হই তাহলে আমার মনে হয় থুব বেশি ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে আমরা রেহাই পাব। প্রথমে আমি আপনাদের ভাল ক্যাটাগরির শেযার কেনার পরামর্শ দেব। মার্কেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার আছে যেমন : এ, বি, জি, এন এবং জেট ।
এবার বলি কো্নটা কি ?


১. এ ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনষভা করে এবং ১০% বা তার অধিক লভ্যাংশ দেয়।


২. বি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনসভা করে কিন্তু ১০% এর নিচে লভ্যাংশ দেয়।


৩. জি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল এখনো বানিজ্যিক কার্য্ক্রম শুরু করেনি সেই সব কোম্পানী ।


৪. এন ক্যাটাগরির শেয়ার : সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানীকে এন ক্যাটাগরির মধ্যে রাখা হয় । পরে লভ্যাংশ ও বার্ষিক সভার উপর ভিত্তি করে অন্য ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়।


৫. জেট ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা করতে ব্যার্থ। লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যার্থ। পুঞ্জিভুত লোকসান পরিশোধিত মুলধনকেও ছাড়িয়ে যায়। ছয় মাস বা ততোধিক কাল সময় উতপাদন বন্ধ থাকে।
* কোনটা কোন ক্যাটাগরির শেয়ার তা জানার জন্য ভিজিট করুন। http://www.dsebd.org । বিস্তারিত তথ্য এই সাইটে পাবেন

শেয়ার কেনার আগে আপনাকে আরো কিছু ধারনা দিতে চাই যে গুলি খুবই গুরুত্বপুর্ন যেমন :
শেয়ার প্রতি আয় ( Earning per share) EPS : Eps= কর-বাদ নিট মুনাফা/মোট ইক্যুইটি শেয়ারের সংখ্যা। এটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন অনুপাত যা শেযার হোল্ডার দের বলে দেয় তারা প্রতি শেয়ারে কত লাভ করেছ। ভাল লাভ হলে ভাল ডিভিডেন্ট পাওয়ার আশা থাকে আর লাভ কম হলে ডিভিডেন্ট ছাড়াই সন্তুষ্ট থাকেতে হয়।
ডিভিডেন্ড আয় উতসারন অনুপাত(dividend yield ratio)Dyr=(শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ট প্রদান/বাজার মুল্য প্রতি শেয়ার)*১০০
এটা একজন বিনিয়োগ কারী বাজার মুল্যে শেয়ার কিনে যে মুনাফা পায় তার শতকরা হার।দ্বিতীয় স্তরের বাজার থেকে শেয়ার কিনলে অনেক সময় ইস্যু মুল্যের উপরে মুল্য প্রদান করে কিনতে হয়। আবার কখনো কখনো ইস্যু মুল্যের কমেও পাওয়া যায়
মুল্য-আয় অনুপাত(price earning ratio: P/E)PE= প্রতি ইক্যুইটি শেয়ারের বাজার মুল্য/শেয়ার প্রতি আয়।এটাও খুব গুরুত্ত্বপুর্ন সমীকরন।যখন বাজার চাঙ্গা থাকে তখন পিই উচুতে থাকে আর মন্দা হলে এটা কম থাকে। অস্বাভাবিক অবস্থা ছাড়া পিই সাধারনত এর বিগত কয়েক বছরের গড় মানের কাছা কাছি থাকে।


আপনি ঢাকা ষ্টক এর ওয়েবসাইডে সব কোম্পানীর পিই পাবেন । যেই শেয়ার পিই যতবেশি সেই শেয়ার কেনা ততবেশি ঝুকিপৃর্ন । আপনি সাধরনভাবে ১৫-২০ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে পারেন । ২০-২৫ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনার আগে একটু চিন্তা করে কিনুন যদি ঔ কোম্পানীর সুনাম ভাল থাকে বা নামকরা কোম্পানী হয় তবে কিনতে পারেন । যদি পিই ৩০ এর উধ্বে হয় তবে শেয়ার কেনা ঝুকিপুর্ন হয়ে যাবে। আমি আপনাদের পথ দেখিযে দিলাম এর পর গানিতিক হিসাব নিকাশ করে আপনার নিজ দয়িত্বে শেয়ার কিনবেন।

DSE Index - সর্ম্পকে জানুন।

DSE Index অথবা মৃল্য সুচক হল একটি সাধরন পরিমাপ। যার মাধ্যমে আমরা শেয়ার বাজার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। বাজারের গতি প্রকৃতি বোঝার জন্র্য বর্তমানে বাজারে তিন ধরনের সুচক প্রচলিত আছে।
১. DSI (DSE all share price Index)
২. DGEN (DSE General Index)
3. DSE 20 Index
আসুন এবার দেখি নিই কোন সুচক কিসের ভিত্তিতে তৈরী।
১. DSI ( DSE All Share Price Index) ( সার্বিক মৃল্যসুচক) :
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত সকল সিকিউরিটিজের সমন্বয়ে যেমন - মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্জার ইত্যাদির দর একত্রে উঠানামার উপর ভিত্তি করে সুচকটি করা হয়।
2. DGEN ( DSE General Index) : ( সাধরন মৃল্যসুচক) - ক্যাটাগরি A,B,G,N সিকিউরিটিজের সমন্বয়ে সাধরন মৃল্যসুচক গঠিত।
3. DSE 20 Index: ( ২০ মুল্যসুচক ) - তালিকা ভুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে হতে সাধারনত পারফরমেন্সের ভিত্তিতে সেরা ২০টি কোম্পানী নিয়ে DSE 20 Index গঠিত। এর ফলে বিনিযোগকারীরা সেরা কোম্পানীগুলি সর্ম্পকে জানতে পারে।
যে সকল বৈশিষ্ট্যর ভিত্তিতে DSE 20 Index এ কোম্পানীগুলো অন্তভুক্ত করা হয় তা হল -
* যে সকল কোম্পানীর বাজার মুলধন ২০ কোটি টাকা বা তার উধ্বে।
*নৃন্যতম ২০% শেযার জনসাধরনের হাতে রয়েছে। ( প্রকৃত পক্ষে তা দেখা যায়না )
*ক্রমাগত বিগত ৩বছর যাবত ১০% হারে লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে।
*৬ মাসে অন্তত ৯৫% লেনদেন দিবসে শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে।
* নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা সহ কোম্পাণীর পরিচালনা ব্যবস্থা নুন্যতম মান বাজায় রয়েছে।
যে ভাবে সুচক নির্ধারন করা হয়।
মুল্যসুচক উঠানামা সব শেয়ার এর মোট বাজার মু্ল্যের উপর ভিত্তি করে পরিমাপ হয় । তাই অধিক পুজিকরন করা হয়েছে এমন বড় কোম্পানীর শেযার দরের দ্বারা মুল্যেসুচক উঠানামা হয়ে থাকে। বর্তমানে শেয়ার বাজার প্রতিদিন আমরা যে সুচক দেখতে পাই তা হল আগের দিনের সুচক।

মুল্যেসুচক নির্ধরন পদ্ধতি:
Current Index (অজকের সূচক):
Current Index= (yesterday`s Closing Index X Current Market Capital)/Opening Market
Capital.Closing Index (সমাপ্তির সুচক):
Closing Index= (yesterday`s Closing Index X Closing Market Capital)/Opening Market Capital.Current Market Capital= Sum of (Last trade price X Total number of Indexed share)Closing Market Capital= Sum of (Closing price X Total number of Indexed share)
উদাহরন : মনে করি DSE তে একটি মাত্র শেয়ার আছে বা সকল শেয়াকে একটি শেয়ার হিসাবে ধরে নিই।
সকল শেয়ার এর আগের দিনের মোট মুল্যে ছিল = ২০ টাকা, সাব শেয়ার এর আজাকের বাজার মুল্যে = ৩০ টাকা DSE আগের দিনের মুল্যেসুচক ছিল = ২০০
তাহলে বর্তমান দিনের মুল্যেসুচক হবে = (২০০x ৩০)/২০ = ৩০০।
আগের দিন থেকে পরিবর্তন হয়েছে = ( ৩০০- ২০০) = ১০০।
শতকরা পরিবর্তন হয়েছে = {(৩০০-২০০)x১০০}/২০০ =৫০%



সূত্র

শেয়ার ব্যবস্য -০১

যারা নতুন সবে মাত্র ব্যবসা শুরু করেছেন তাদের জন্য। কারন আমরা ভালমন্দ বিচার না করে শেয়ার কিনি পরে তা লোকসান দিয়ে বি্ক্রি করতে হয় ফলে আমাদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে যায়। তখন চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া কিছুই থাকে না । যদি আমরা শেয়ার কেনার আগে একটু সচেতন হই তাহলে আমার মনে হয় থুব বেশি ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে আমরা রেহাই পাব। প্রথমে আমি আপনাদের ভাল ক্যাটাগরির শেযার কেনার পরামর্শ দেব। মার্কেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শেয়ার আছে যেমন : এ, বি, জি, এন এবং জেট ।
এবার বলি কো্নটা কি ?
. এ ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনষভা করে এবং ১০% বা তার অধিক লভ্যাংশ দেয়।
২. বি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সব কোম্পানী প্রতিবছর বার্ষিক সাধরনসভা করে কিন্তু ১০% এর নিচে লভ্যাংশ দেয়।
৩. জি ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল এখনো বানিজ্যিক কার্য্ক্রম শুরু করেনি সেই সব কোম্পানী ।
৪. এন ক্যাটাগরির শেয়ার : সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানীকে এন ক্যাটাগরির মধ্যে রাখা হয় । পরে লভ্যাংশ ও বার্ষিক সভার উপর ভিত্তি করে অন্য ক্যাটাগরিতে নেওয়া হয়।
৫. জেট ক্যাটাগরির শেয়ার : যে সকল কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারন সভা করতে ব্যার্থ। লভ্যাংশ প্রদান করতে ব্যার্থ। পুঞ্জিভুত লোকসান পরিশোধিত মুলধনকেও ছাড়িয়ে যায়। ছয় মাস বা ততোধিক কাল সময় উতপাদন বন্ধ থাকে।
** কোনটা কোন ক্যাটাগরির শেয়ার তা জানার জন্য ভিজিট করুন। http://www.dsebd.org । বিস্তারিত তথ্য এই সাইটে পাবেন।
শেয়ার কেনার আগে আপনাকে আরো কিছু ধারনা দিতে চাই যে গুলি খুবই গুরুত্বপুর্ন যেমন :
শেয়ার প্রতি আয় ( Earning per share) EPS : Eps= কর-বাদ নিট মুনাফা/মোট ইক্যুইটি শেয়ারের সংখ্যা। এটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন অনুপাত যা শেযার হোল্ডার দের বলে দেয় তারা প্রতি শেয়ারে কত লাভ করেছ। ভাল লাভ হলে ভাল ডিভিডেন্ট পাওয়ার আশা থাকে আর লাভ কম হলে ডিভিডেন্ট ছাড়াই সন্তুষ্ট থাকেতে হয়।
ডিভিডেন্ড আয় উতসারন অনুপাত(dividend yield ratio)Dyr=(শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ট প্রদান/বাজার মুল্য প্রতি শেয়ার)*১০০
এটা একজন বিনিয়োগ কারী বাজার মুল্যে শেয়ার কিনে যে মুনাফা পায় তার শতকরা হার।দ্বিতীয় স্তরের বাজার থেকে শেয়ার কিনলে অনেক সময় ইস্যু মুল্যের উপরে মুল্য প্রদান করে কিনতে হয়। আবার কখনো কখনো ইস্যু মুল্যের কমেও পাওয়া যায়।
মুল্য-আয় অনুপাত(price earning ratio: P/E)PE= প্রতি ইক্যুইটি শেয়ারের বাজার মুল্য/শেয়ার প্রতি আয়।এটাও খুব গুরুত্ত্বপুর্ন সমীকরন।যখন বাজার চাঙ্গা থাকে তখন পিই উচুতে থাকে আর মন্দা হলে এটা কম থাকে। অস্বাভাবিক অবস্থা ছাড়া পিই সাধারনত এর বিগত কয়েক বছরের গড় মানের কাছা কাছি থাকে।
আপনি ঢাকা ষ্টক এর ওয়েবসাইডে সব কোম্পানীর পিই পাবেন । যেই শেয়ার পিই যতবেশি সেই শেয়ার কেনা ততবেশি ঝুকিপৃর্ন । আপনি সাধরনভাবে ১৫-২০ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে পারেন । ২০-২৫ পিই ক্যাটাগরির শেয়ার কিনার আগে একটু চিন্তা করে কিনুন যদি ঔ কোম্পানীর সুনাম ভাল থাকে বা নামকরা কোম্পানী হয় তবে কিনতে পারেন । যদি পিই ৩০ এর উধ্বে হয় তবে শেয়ার কেনা ঝুকিপুর্ন হয়ে যাবে। আমি আপনাদের পথ দেখিযে দিলাম এর পর গানিতিক হিসাব নিকাশ করে আপনার নিজ দয়িত্বে শেয়ার কিনবেন।
 
 
 
 

শেয়ার কিনবেন কিভাবে? এবং কোনটা ?

আমার এই লেখাটি মুলত যার সবেমাত্র শেয়ার ব্যাবসা শুরু করেছেন তাদের জন্য । আপনার শেয়ার কেনার আগে একটু নিচের চেক লিষ্টটা দেখে ভাল করে বুঝে তার পর শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন তা হলে আশা করি আপনার কস্টের টাকা মিস হওয়ার সম্ভবনা কম।
১.শেয়ার কেনার আগে ও শেয়ার P/E দেখবেন। এটা অবশ্যই ১৬ এর নিচে হওয়া উচিত্। যত কম হয় তত ভাল।
২.শেয়ার কেনার আগে ও শেয়ার এর NAVদেখবেন। এর সাথে বাজার মুল্যের একটা সামান্জস্ব থাকা উচিত। যার NAV ৩০০ টাকা তার বাজার মুল্যে ৭০০ নিচে হওয়া উচিত। এভাবে হিসাব করবেন।
3. শেয়ার কেনার আগে ও শেয়ার এর EPS দেখুন। এটা যত বেশি হবে তত ভাল।
৪.মোট শেযার এর সংখ্যা দেখুন । কতটুকু জনগনের কাছে দেখুন। প্রতিদিন গ্রহনযোগ্যতা মাত্রায় লেনদেন হয় এমন শেয়ার কেনা উচিত।
৫. লাষ্ট ৫-৬ মাসের খবর দেখুন । ( ডিএসই-র সাইডে দেখুন)

কি ভাবে কিনবেন?
ধরুন আপনি কোন কোম্পানীর শেযার ৫ লট কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তহলে এক বারে ৫লট না কিনে ২-১ করে কিনুন । প্রথম লট যে দামে কিনেছেন দাম কমলে আরেক লট কিনুন তাতে গড়ে আপনার কেনা শেয়ারের দাম কম পড়বে।
বিক্রয় করার সময় ও একই ভাবে ১-২, করে বিক্রয় করুন ।

কত টুকু কিনবেন?
কেনার সময় এক কোম্পানীর শেয়ার একেবারে বেশি করে না কিনে , ২-৩টা কোম্পানীর শেয়ার মিলে কেনা উচিত । তাতে একটা দাম কমে গেলে যদি আরেকটা দাম বাড়ে তাহলে গড় এ লাভ থাকবে।
 
আমি শুধু একটু ধারনা দিলাম, কি ভাবে কিনবেন বা বিক্রয় করবেন পুরু বিষয়টি আপনার নিজের উপর।
 
 

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১০

Lot কি?

শেয়ার কিনতে হলে আপনাকে লট হিসেবে কিনতে হবে। বিভিন্ন কম্পানির লট সংখ্যা বিভিন্ন।
লট হিসেবে শেয়ার কিভাবে কেনে How to buy share according to lotযেমন উপরের কম্পানিটি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এর মার্কেট লট (লাল দাগ দেয়া) ৫০০। এর অর্থ আপনি যদি এই কম্পানির শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে একবারে ৫০০ টি শেয়ার কিনতে হবে। এই কম্পানির last trade price 55. তাই ৫০০ টি শেয়ারের দাম হবে ৫০০*৫৫=২৭৫০০ টাকা। আপনি যদি বেশি শেয়ার কিনতে চান তবে লটের গুনিতক হারে অর্থাৎ ৫০০/১০০০/১৫০০ এভাবে কিনতে হবে।শেয়ার বাজারে লট কি What is lot in share marketআবার এই কম্পানিটি লক্ষ্য করুন। এর মার্কেট লট ৫ টি। তাই আপনি যদি এই শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে ৫/১০/১৫ এভাবে কিনতে হবে। আশা করি লট কি তা এখন বুঝতে পেরেছেন।

শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন শেয়ারের দাম কিভাবে পড়ব ?

শেয়ারের দাম দেখা, forex ,currency, earn, money, share market
শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দাম ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দামের বিবরণ উপরের ছবির মত দেয়া থাকে। আসুন এবার শিখে নেই কিভাবে এই তথ্য গুলো পড়ব।
১। Last Trade: এই কম্পানির লাস্ট ট্রেড কত টাকায় হয়েছে। দেখা যাচ্ছে এই কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বশেষ ৩৩২.৪০ টাকায় হয়েছে।
২। Day's range: ঐ দিনে ঐ কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যা। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে এই কম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩৩৮ টাকা ও সর্বনিম্ন ৩২৯.৭ টাকা।
৩। Open price: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে সেইদিনে ঐ কম্পানির শেয়ারের দাম কত দিয়ে শুরু হয়েছে।
৪। Yesterday close: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে তার আগের দিনে শেয়ারটির লাস্ট দাম কত ছিল।
৫। Volume: মোট কতগুলো শেয়ার কেনা বেচা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে ১১০৬১৫০ টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যেহেতু এই কম্পানির লট সংখ্যা ৫০ টি । তাই মোট ১১০৬১৫০/৫০=২২১২৩ টি লট কেনাবেচা হয়েছে।
৬। Total trade: ঐ দিনের মোট ট্রেড সংখ্যা।
৭। Change: আজকের লাস্ট প্রাইস ও গতকালের লাস্ট প্রাইসের পার্থক্য(৩৩২.৪-৩৩০.৯=১.৫) ও তার পার্সেন্টেজ।
৮। 52 week's range: ঐ দিন থেকে ১ বছর আগের সময়ের মধ্যে ঐ শেয়ারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম।
৯। Market lot: ঐ কম্পানির মার্কেট লট। বিস্তারিত
১০। এখান থেকে কম্পানির বিগত সময়ের শেয়ারের দাম ও ভলিউমের চার্ট দেখা যায়।
 
 

বিভিন্ন শেয়ারের ক্যাটাগরি বা শেয়ারের শ্রেণী বিভাগ

আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে যে সকল শেয়ার রয়েছে তাদেরকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
A - যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ প্রদান করে।
B -যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে কিন্তু ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদান করে।
G - বাজারে আসা নতুন কম্পানি কিন্তু এখনো কম্পানি চালু হয় নি।
N - বাজারে নতুন আসা কম্পানি।
Z - অনিয়মিত AGM ও লভ্যাংশ প্রদান করে না।

তাই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই এটি দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার কেনার আগে যা যা দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার কেনার আগে অবশ্যই ইনভেস্টরকে কিছু জিনিস দেখে বিবেচন আকরে শেয়ার কেনা উচিত। হুট করে না বুঝে শেয়ার কেনার কোন মানেই হয় না। তাতে হয়তোবা মাঝে মধ্যে লাভ হতে পারে কিন্তু লসের চান্সই বেশি। যাই হোক
প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে শেয়ারটি কোন ক্যাটাগরির। চেস্টা করবেন A অথবা ভাল কম্পানি হলে N ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন A ক্যাটাগরির শেয়ার সবসময় ভাল নাও হতে পারে। ঐ বছর তাদের ব্যাবসা খারাপও যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত দেখে নিন কম্পানির EPS ( Earning per share) কত? Eps যদি কম হয় তবে ঐ শেয়ার কেনা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যে কম্পানির শেয়ারের নিজস্ব কোন ইনকাম নেই সেই শেয়ারের দাম কিভাবে বাড়বে? আর যদিও ঐ শেয়ারের দাম বাড়তি থাকে তবে ধরে নিবেন নিশ্চয়ই কোথাও কোন সমস্যা আছে। অর্থাৎ ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ;-)

তৃতীয়ত দেখে নিন ঐ শেয়ারের PE (Profit earning ratio) কত। যে শেয়ারের PE যত বেশি সেই শেয়ার তত অতি মূল্যায়িত। আমাদের মার্কেটে ২৫ এর চেয়ে বেশি PE কে ঝূকিপূর্ণ ধরা হয়।

তাই শেয়ার কেনার আগে অন্তত এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে শেয়ার কিনুন।
 
 

ব্রোকার দিয়ে শেয়ার কিভাবে কেনে-১

যারা শেয়ার মার্কেটে একেবারেই নতুন তাদের জন্য পোস্টটি। শেয়ার ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই তাদের মনে প্রশ্ন আসে কিভাবে টাকা দিয়ে শেয়ার কিনব, টাকা কি ব্যাংকে দিতে হবে, কাকে টাকা দিব বা আমিও বা কিভাবে আমার লাভের টাকা পাব। প্রথমেই বলেছি যারা একেবারে abc দিয়ে শুরু করতে চায় তাদের জন্য এই পোস্ট। শেয়ার ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে কোন একটি ব্রোকারে গিয়ে BO account খুলতে হবে। BO account খুললে আপনাকে ঐ ব্রোকার হাউস থেকে একটা ব্রোকার নম্বর ও BO account নাম্বার দিবে। আসলে শেয়ার বেচাকেনার জন্য ঐ ব্রোকার নাব্বারটাই দরকার BO account নাম্বারটা লাগে না। BO account নাম্বার লাগে খালি প্রাইমারি শেয়ারের জন্য। প্রাইমারি শেয়ার কেনা নিয়ে আরেকদিন আরেকটা পোস্ট দিব। যাই হোক একাউন্ট খোলার পর আপনাকে ঐ ব্রোকারে টাকা জমা দিতে হবে। টাকা আপনি নগদ ক্যাশ বা চেকে দিতে পারেন। ব্রোকারে দেখবেন সবাই একটা লোককে শেয়ারের দাম জিজ্ঞাসা করছে এবং সে কম্পিউটার দিয়ে দাম বলছে ও দেখছে।  টাকা জমা দেবার পর আপনি যদি শেয়ার কিনতে চান তবে ঐ লোকটাকে জিজ্ঞাসা করুন, যে শেয়ার কিনতে চান তার দাম কত। তারপরে ঐ দামে যদি শেয়ার কিনতে চান তাহলে বলবেন অমুক কম্পানি ৫০০ কিনেন। তখন ঐ লোক আপনার কাছে আপনার ব্রোকার নাম্বারটি চাইলে তা দিন। আরেকটু সহজভাবে বলি মনে করেন আপনি BDCOM এর ১ লট কিনতে চান তখন বলবেন BDCOM ৫০০ কেনেন (যেহেতু BDCOM এর লট ৫০০ টায়) বা ২ লট কিনতে চাইলে বলেন BDCOM ১০০০ কেনেন। কিংবা DUTCHBANGLA ১ লট কিনতে চাইলে বলবেন ৫০ টা DUTCHBANGLA কেনেন। মনে রাখবেন ব্রোকারে কিন্তু শেয়ার বেচা কেনার সময় লট হিসেবে বলে না। আপনাকে লট এর গুণিতক আকারে সংখ্যায় বলতে হবে। আবার বিক্রি করার সময়ও এভাবে বিক্রি করবেন। শেয়ার কিনলে বা বিক্রি করলে আপনাকে কোন কাগজপত্র দেয়া হবে না। অটোমেটিক ঐ শেয়ার আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে এবং আপনার একাউন্ট থেকে টাকা মাইনাস হয়ে যাবে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে পোর্টফলিও প্রিন্ট করে নিতে পারেন। পোর্টফলিও লাগলে আপনি ঐ একই ব্যক্তিকে আপনার ব্রোকার নাব্বারটি দিয়ে বলুন পোর্টফলিও প্রিন্ট দিতে। দেখবেন তার কাছাকাছি কোন প্রিন্টার থেকেই একটা কাগজ প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসছে। প্রিন্ট হয়ে গেলে নিজে গিয়েই কাগজটা প্রিন্টার থেকে ছিড়ে নিন। পোর্টফলিও প্রিন্ট করতে কোন টাকা লাগে না।তাই যতখুশি প্রিন্ট করতে পারেন।


সুত্র

শেয়ার বাজার-১৫: স্বাগতম টেকনিকাল এনালাইসিসের জগতে

অনেক দিন পর আবার শেয়ার বাজার নিয়ে লিখতে বসলাম। এই সিরিজের প্রায় সবগুল লেখাই ১০-১৪ দিনের বিরতী নিয়ে লেখা হয়েছে, ব্যাতিক্রম শুধু এই পোস্টটির বেলায় :) প্রায় দের মাস পর আবার লিখছি। তাই প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি পাঠকদের কাছে অনিচ্ছাকৃত দীর্ঘসূতিতার জন্য। মাস্টার্সের থিসিস সাবমিশন-ডিফেন্স, প্রবাসের পাঠ চুকিয়ে দেশে ফেরা সব মিলিয়ে এক রকম মেরাথন রেস করতে হয়েছে শেষ ২ মাসে।

দেখতে দেখতে এই সিরিজের ১৫ তম পোস্ট লিখছি আজ তাই আর খুব বেশি বড় করার ইচ্ছে নেই। টেকনিকাল এনালাইসিস নিয়ে ৩ টি পর্ব লিখেই ইতি টানার চেষ্টা করব, মানে খুব বেশি হলে ১৭ কিংবা ১৮ পর্বেই শেষ হবে শেয়ার বাজার নিয়ে লেখা এই সিরিজ। আসলে আপনাদেরকে জানাবার মত আর খুব বেশি মেটারিয়াল নেই আমার ঝুলিতে তাই দিন থাকতেই তল্পি-তল্পা গোছানোর ফন্দি এটেছি :)

টেকনিকাল এনালাইসিস শেয়ার বাজারে বেশ পরিচিত ও ক্রমবর্ধমান ভাবে জনপ্রিয় হতে থাকা একটি ট্রেডিং টেকনিক যা মূলত গানীতিক তথা স্টেটেস্টিকস থেকে শুরু করে হাল আমলে ডাটা মাইনিং (টাইম সিরিজ ডাটা এনালাইসিস) পর্যন্ত বিসৃত। আর পেশগত ও একাডেমিক কারনে (আমি পেশায় এক জন ডাটাবেজ এডমিনিস্ট্রেটর আর সর্বশেষ একাডেমিক স্টাডি এরিয়া ছিল ডাটা মাইনিং) অদূর ভবিস্যাতে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারেও ডাটা মাইনিং এর বিভিন্ন টেকনিক এপ্লাই করার ইচ্ছে আছে। তবে এই সিরিজে এত সব কাঠখোট্টা টাইপের জিনিস নিয়ে আলোচনা না করে টেকনিকাল এনালাইসিসের বেসিক কিছু টুল - ১। কেন্ডেল স্টিক ২। মুভিং এভারেজ (MA, MACD) ও ৩। RSI নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি যা আপনাদের শেয়ার কেনা-বেচার স্বীদ্ধান্ত নিতে কিন্চিত হলেও কাজে লাগবে।

স্বতর্কীকরণ: গত ১৪ টি পোস্টে আমি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শুধু শেয়ারের ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস নিয়েই কথা বলেছি। শেয়ার ট্রেডিং এ ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস হল প্রধান বিবেচ্য ও মূল গুরুত্বপূর্ন বিষয় যা বিস্তারিত ভাবে কোন নির্দিষ্ট শেয়ার ও শেয়ার বাজার সম্পর্ক সমক্য ধারনা দেয়। শেয়ার মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি, এর পেছনের কারন, কম্পানির আর্থিক ভিত্তি ও বাজারের সামর্থ নিয়ে কাজ করে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস। অপর দিকে টেকনিকাল এনালাইসিস বিশেষ করে স্টেটিসটিকাল গ্রাফ/চার্ট নির্ভর টুলগুল (এই পোস্ট ও আগামীতে আলোচ্য টুলগুল) শুধুমাত্র বাজারের ট্রেন্ড এনালাইসিস করে ফলাফল দেয়; অনেকটা স্রোতে গা ভাসাবার মত করে বাজারের গতি-প্রকৃতির উপর ভর করেই কাজ করে। শেয়ার মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি, এর পেছনের কারন, কম্পানির আর্থিক ভিত্তি বা বাজারের সামর্থ ইত্যাদি এই সকল টেকনিকের বিবেচ্য বিষয় নয়। তাই টেকনিকাল এনালাইসিসকে, ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের সহায়ক টুল হিসেবে ব্যবহার করুন। কিন্তু কখনই শুধুমাত্র টেকনিকাল এনালাইসিস নির্ভর হবেন না, হলে কপানে দূর্গতি নিশ্চিত।

টুল -১ : কেন্ডেল স্টিক

১৮ শতকের এক জাপানি মাছ ব্যাবসায়ির অবদান এই কেন্ডেল স্টিক যা যুগপত ভাবে লাইন চার্ট ও বার চার্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। নিচের ছবি দেখুন যা একই সাথে শেয়ারের সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন, ওপেনিং ও ক্লোজিং প্রাইস রিপ্রেজেন্ট করছে।



ছবিতে সাদা ও কাল ২ ধরনের কেন্ডেল স্টিক দেখালেও টেকনিকাল এনালাইসিসে ব্যাবহৃত সফ্টওয়ারগুলতে লাল ও সবুজ রং এর কেন্ডেল স্টিক দেখতে পাওয়া যায়। লাল/কাল - দাম হ্রাস এবং সাদা/সবুজ দাম বৃদ্ধিকে রিপ্রেজেন্ট করে।

এখন কথা হল এই স্টিক দেখে আমরা কি বুঝব ? মূলত কিছু পেটার্ন দেখেই এই স্টিক গ্রাফের মাজেজা বুঝতে হবে। আর এই পেটার্নগুলর সংখ্যা নিতান্ত কম নয় তাই সবগুল নিয়ে পোস্টে রচনা না লিখে মূল সোর্সের লিংক দেয়াই ভাল হবে। আর টেকনিকাল এনালাইসিস যেহেতু এডভান্স লেভেলের জিনিস তাই দাত-ভাঙ্গা ইংলিশগুল পড়ে বোঝার কষ্টটুকু নিজে নিজেই করুন, আর প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়াতে আমি ত আছিই। তা হলে শুরু করে দিন........ :)

Click This Link

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া


সুত্র

শেয়ার বাজার-১৪: অতিমূল্যায়িত ও অবমূল্যায়িত শেয়ার

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের সাথে যারা পরিচিত অথবা এর সম্পর্কে টুকটাক খোঁজ-খবর রাখেন তাদের কাছে সবচেয়ে পরিচিত শব্দটি সম্ভবত 'অতিমূল্যায়িত'। আবার মাঝে মাঝে শোনা যায় ব্যাংক শেয়ারগুল অবমূল্যায়িত।তাই অনেকেই এই দুট টার্ম নিয়ে কনফিউজড হয়ে পড়েন।

'অতিমূল্যায়িত' শব্দটি এতই ব্যাবহৃত যে এটা শুনতে শুনতে সব বিনীয়োগকারীর কান ঝালা-পালা :)। এই শব্দের আবার ভংঙ্কর চেহারা ও আছে, বাজার নিয়োন্ত্রক সংখ্যা মানে DSE অথবা SEC এর মুখ থেকে 'অতিমূল্যায়িত' শব্দটি বেরন মানেই বাজার সংশোধনের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ অত্যাসন্ন; ফলস্বরুপ মূল্য পতন। ভয়-ভীতি এমন স্থানে পৌচেছে যে, DSE অথবা SEC পূর্বনীর্ধারিত মিটিং এর দিন বাজেরে মূল্য পতন নিয়মিত ঘটনায় পরিনত হয়েছে।

তা হলে আসুন এই 'অতিমূল্যায়িত' দৈত্য ও 'অবমূল্যায়িত' আলাদিনের চেরাগের সাথে পরিচিত হই আজ।

অতিমূল্যায়িত (Overvalued): যে শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্য তার আর্থিক সামর্থকে অনুসরন করে না, সে শেয়ার গুলই অতিমূল্যায়িত শেয়ার বলে পরিচিত হয়। আর বাজার সংশোধনে এরাই সবার আগে মূল্য হাড়ায়। অর্থাৎ আয়ের তুলনায় কোন শেয়ারের উচ্চ বাজার মূল্যই অতিমূল্যায়নের লক্ষণ।

আর অবমূল্যায়ন বা নিম্নমূল্যায়ন (Undervalued) হল অতিমূল্যায়িত (Overvalued) এর বিপরীত অবস্থা। সুতরাং অতিমূল্যায়িত শেয়ার খুজে বেরকরতে পারলে অবমূল্যায়িত শেয়ার গুলও বের করা সম্ভব। মূলত ৬ ভাবে অতিমূল্যায়িত শেয়ার চিন্থিত করা যায়:

১। High p/e or low earnings yield: আয় ও বাজার মূল্যের অনুপাত বেশি হলেই তা অতিমূল্যায়িত। আমাদের বাজারে পিই ১৫-২০ গ্রহনযোগ্য কিন্তু তা ২৫ ছাড়ালেই শতর্ক হওয়া উচিত। আর earnings yield হল পিইর আরেক রূপ। earnings yield = ১/পিই = (১/২৫)*১০০ = ৪% এটা যত কম হবে ঝুকি তত বাড়বে।

২। Falling dividend yield: কম্পানির বোনাস পলিসির পরিবর্তন হলেই ডিভিডেন্ড দেয়ার হার কমে/বাড়ে। যে কম্পানি আগে ১০০ টাকা লাভ করলে ৭৫ টাকা বোনাস দিত সেই কম্পানি যদি হটাৎ করে ৬০ টাকা দেয়া শুরু করে কিন্তু বাজারে দামের কোন লক্ষনিয় হের-ফের হয় না তখন বুঝতে হবে এই শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পরছে।


৩।High price to earnings growth ratio: ধরুন কম্পানি ক এর ২০০৮ এর আয় (EPS) ১০ ও ২০০৯ এ ১১ টাকা। অর্থাৎ আয় বৃদ্ধির হার {(১১-১০)/১০}*১০০ = ১০% আবার ২০০৯ এ পিই হল ২৫। মানে ২০০৯ এ আয় বৃদ্ধির হার ও পিই'র অনুপাত (২৫/১০)= ২'৫ । এই অনুপাত ২ এর বেশি হলে তা অতিমূল্যায়নের লক্ষণ বলে ধরা হয়।

৪।High price to book ratio: ধরুন কম্পানি ক এর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) ২০০ টাকা আর বাজার মূল্য ৬০০ টাকা। অর্থাৎ দুটর অনুপাত হল ৩ ! যেখানে ২ হলেই শীর্ষস্থানীয় শেয়ার বাজারে হাউ-কাউ শুরু হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থা ভিন্ন তাই এখেত্রে NAV কমলেও যদি বাজার মূল্য না করে তবে বুঝতে হবে এই শেয়ার অতিমূল্যায়নের দিকে যাচ্ছে।

৫।Low return on equity: কম্পানির নিট লাভ ও শেয়ার হোল্ডারদের হাতে থাকা শেয়ারের সব শেয়ারের দামের অনুপাত (বাৎসরিক গড় দাম * মোট শেয়ার সংখ্যা)। এই অনুপাত বিগত বছরগুলর সাথে মিলিয়ে যদি দেখা যায়, অনুপাতের পতন ঘটেছে তখন তা অতিমূল্যায়নের ইঙ্গিত দেয়।

৬।The boss is selling: সব চেয়ে সোজা উপায় আর কি ! কম্পানির মূল্য উদ্দোগতা বা স্পনসররা যখন তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেয় তখন বুজতে হবে ঐ কম্পানির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। ৩ কারনে এই বিক্রি হতে পারে -

ক। এক জন শেয়ার হোল্টার কোন কম্পানির বাজারে ছারা মোট শেয়ারের ৫% হোল্ড করতে পারেন। ফলে বোনাস আকারে এই শেয়ারের পরিমান বেড়ে গেলে অতিরিক্ত শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয়।

খ। মূলধন অন্য কোন ব্যাবসায় স্থানান্তর করতে।

গ। উঠতি বাজারে বিক্রি করে তা আবার কম মূল্যে কেনার উদ্দশ্যে।

মূলত খ ও গ এর ক্ষেত্রে তা শেয়ারের অতিমূল্যায়ন ইনডিকেট করে।

তাই শেয়ার কেনার আগে দেখুন আপনার পছন্দের শেয়ারের বর্তমান অবস্থা কি? অতিমূল্যায়িত শেয়ার এড়িয়ে চলুন এবং খুজতে থাকুন অবমুল্যায়িত শেয়ার সমূহ :) কারন কিছু দিনের মধ্যেই তাদের মূল্য বৃদ্ধি শুরু হবে। আর শেয়ার বাজারে টিকে থাকার মূল মন্ত্র হল-

"শেয়ার কেনার সময়ই লাভ করতে হবে বিক্রির সময় নয়।"


সুত্র

শেয়ার বাজার-১৩ ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, টেকনিকাল এনালাইসিস: সহযোগী না প্রতিদ্ধন্ধী ?

ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস (FA) ও টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) শেয়ার মার্কেটে বিনীয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিত দুটি ডিসিশন সাপোর্ট টুল। শেয়ার বাজার নিয়ে আমি নিয়মিত লিখি সামুতে, তাই এ সম্পর্কিত অন্যান্য লেখকের লেখাও পড়ি নিয়মিত।

আজ সৌভাগ্যা ক্রমে পর পর ৩ টা লেখা পড়লাম, যা মূলত টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) এর খারাপ ভাল দিকগুল নিয়ে লেখা হয়েছে। এ সম্পর্কিত নিজস্ব মতামত তুলে ধরাই আজকের লেখার মূল্য উপলক্ষ। তাহলে আসুন আগে দেখি FA,TA কি জিনিস-

ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস (FA): মূলত কম্পানির ফিনানসিয়াল ফান্ডামেন্টাল তথা লাভ-লোকশান/আয়-ব্যায়কে কেন্দ্র করেই এ ধরনের এনা লাইসিস করা হয়। আমার ব্লগে শেয়ার বাজার সম্পর্কিত সব লেখাই এ ধরনের এনালাইসিসের ভিত্তিতে লেখা। তাই পাঠেক মাত্রই জানেন কি ভাবে এই টেকনিক কাজ করে।

টেকনিকাল এনালাইসিস (TA): এটি একটি স্টেটিস্টিকাল টেকনিক যা মূলত বাজারে শেয়ারের মূল্য ও চাহিদার আনুপাতিক হার দ্বারা নিয়ন্ত্রীত। যেহেতু ব্লগার তৌফিক কামাল অলরেডি এটা নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়েছেন তাই পাঠকগন ঐ ব্লগ থেকেই বিস্তারিত জানুন। সময় সল্পতা ও লেখার আকার সীমিত রাখার জন্য বিস্তারিত আলোচনায় গেলাম না।

যারা ঐ পোস্টটি পড়েছেন তারা নিশ্চই অবাক হচ্ছেন কী সহজেই না গ্রাফ/চার্ট দেখে শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। সংক্ষেপে বললে সিসটেমটা এমন " ৫-৬/১০-১৫ দিনের এভারেজ মূল্য ও ট্রেড ভলিউমের চাইতে এখন কার মূল্য ও ভলিউম বেশী হলেই বাই আর তা কমতে শুরু করলেই সেল। "

টেকনিকটা যে কার্যকরী এ ব্যাপারে কোন সন্ধেহ নেই কিন্তু সমস্যা হল এর ব্যাবহারকারী। ছবি ত সবাই তুলতে পারে কিন্তু আমার আর একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের হাতে একই কেমেরা থাকলেও ছবির মান যে আকাশ-পাতাল হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে আমি কিন্তু খারাপ ছবি তুলি না Click This Link :)

টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) এর সীমাবদ্ধতা ও কুফল সম্পর্কে ব্লগার হা হা পোস্ট করেছেন আজ। আর এই পোস্টের কাউন্টার পোস্ট ও এসেছে একই দিনে। আমি বরং টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) এর সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আরো বিস্তারীত আলোচনা করি।

প্রথকেই কিছু প্রশ্ন করি, TA যারা বুঝেছেন তাদের জন্য

১। বর্তমান মূল্য ও ট্টেডিং ভলিউম গড় মূল্য ও গড় ট্টেডিং ভলিউমের চেয়ে বেশী হলেই শেয়ার কিনতে হবে। কেন এই বৃদ্ধি তা কি কেউ ভেবেছেন ?

২। ঠিক কতটুকু বেশী হলে/ কমলে আপনি ক্রয়-বিক্রয় শুরু করবেন ?


১ এর জবাবে অনেকেই বলবেন, দাম ও ক্রয়-বিক্রয় বৃদির পেছনের কারন চাহীদা বৃদ্ধি :)। তাদের জন্য সম্পূরক প্রশ্ন এই চাহিদা কে সৃষ্টি করল গেম্বাররা না কি কম্পানির আর্থিক ভিত্তি ?
২ এর জবাবে অনেকে হয়ত বলবেন, ১০-১৫% বৃদ্ধি পেলেই কিনতে হবে আবার ১০-১৫% কমে গেলে বিক্রি।

এবার আসুন একটা উদাহরন দেখি -

কম্পানি : ক (কোন কল্পিত কম্পানি নয়, নীতিমালার কারনে নাম ডিসক্লোজ করা গেল না )
কেটাগরি: IT Sector - মাত্র ৫ টি কম্পানি রয়েছে এই কেটাগরিতে সুতরাং তা মেনুপুলেট করা তুলনামূলক সহজ

Last Trade 50.00
52 Week's Range 26.5 - 88.9 - দাম বেশ ফ্লাকচুয়েট করে
Face Value 10.0
Market Lot 500
Market Category A - ভাল
Electronic Share Y - ভাল
Total no. of Securities 22853600
Share Percentage: Sponsor/Director 52.24 Govt.0 Institute 0 Foreign 0 Public 47.76
Total no. of Securities 22853600
মানে প্রায় ১,০৯,৬৭, ৯২৮ (Total no. of Securities*Share Percentage) টি শেয়ার ও ২১,৯৩৯ টি লট (১,০৯,৬৭, ৯২৮/৫০০) রয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীর হাতে। অর্থাৎ বেশ ভাল ভাবেই একে মেনুপুলেট করা সম্ভব।

এখন যদি কোন গ্রুপ সেই ২১,৯৩৯ টি লটের ২০% কম দামে কিনে এবং আরো ৫-৭% লট গড় মূল্যের চাইতে বেশী দামে কেনা শুরু করে (ধরুন ৫-২০ ট্রেডিং ডে এর মধ্যে কিনবে) তা হলে কিন্তু আমাদের এই টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) ঠিকই বাই সিগনাল জেনারেট করবে। যদিও এই চাহিদা বৃদ্ধি মেনুপুলেটেড :)। দু:খজনক হলেও সত্য যে MACD গ্রাফ, Candle stick গ্রাফের সাধ্য নেই এই ম্যানুপুলেশনকে ইনডিকেট করার । তাই গ্রাফ দেখে আপনি যখন কিনতে শুরু করবেন, ঐ গ্রুপ তখন কেনা থামিয়ে দিয়ে হাতে থাকা ২০% লটগুল বিক্রি শুরু করবে আপনার কাছে।

আর যেহেতু গড় মূল্যের ১০-১৫% বেশি দামে আপনি শেয়ার কিনছেন সেহেতু আপনি বড় রিস্ক নিচ্ছেন কারন এই দাম কম্পানির আর্থিক ভিত্তি দ্বারা সাপোর্টেড নয়। ফলে শেষ দিকের বিনিয়োগকারীরা মিনিমাম ২০-২৫% ক্ষতির স্বীকার হবেন।


তাই টেকনিকাল এনালাইসিস (TA) ফলো করার আগে জাচাই করুন এই চাহীদা বৃদ্ধির কারন। যদি এটা কম্পানির আর্থিক লাভের পরিমান দ্বারা ট্রিগার্ড না হয়ে থাকে তবে শত হাত দূরে থাকুন ঐ শেয়ার থেকে (TA যতই বাই সিগনাল জেনারেট করুক না কেন :) )


আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল টেকনিকাল এনালাইসিস ব্যাবহার করুন আপনার বিনীয়োগের সময়কাল কমিয়ে আনতে তবে অবশ্যই দেখুন এই চাহীদা বৃদ্ধি যেন কম্পানির আর্থিক ভিত্তি দ্বারা সাপোর্টেড হয়। তাহলে সেলিং সিগনাল মিস করলেও দুশ্চিন্তা নেই কারন আর্থিক ভিত্তি আপনাকে সুরক্ষা দেবে। আর কম্পানির আর্থিক ভিত্তি নিরুপনের জন্য ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস (FA) হল সব চেয়ে গ্রহনযোগ্য উপায়।

নতুন বিনিয়োগকারীদের প্রতি অনুরোধ, অন্ধ হয়ে TA এর পেছনে ছুটবেন না, আগে অ-আ শিখুন পড়ে ক-খ নইলে অল্প বিদ্যা ভায়ঙ্করী হবার সমুহ সম্ভাবনা আছে। আর যারা টেকনিকাল এনালাইসিস শেখাচ্ছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ ভাল দিকগুলর পাশাপাশি এর খারাপ দিকগুল ও বলুন। নতুন দেরকে সচেতন করুন অন্ধ অনুকরন করতে শিখিয়েন না। কি এবং কোন কারনে বাইং সিগনাল জেনারেট হল এবং কে আপনি তা ফোলো করছেন তাও বলুন। আর ব্লগার তৌফিক কামালকে উদ্দেশ্য করে বলছি-

আপনার ব্লগ ও ফেসবুক একাউন্ট দেখলাম; আপনি এমন সব স্পেকুলেটিভ তথ্যা ব্লগ ও ফেসবুকে দিচ্ছেন যা ডিএসইর আইনে নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যেই অনেক ব্লগ, ফোরাম ও ওয়েব সাইট বন্ধ করে দিয়েছে রেব। ৬ মাস আগে ৩ জনকে গ্রেফতার ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। তাই যা করবেন আইন মেনেই করুন।


সূত্র

শেয়ার বাজার-১২: DSE'র লেভেল প্লেইং ফিল্ড ও আমাদের গিনিপিক হয়ে বেঁচে থাকা

২১ শে জুলাই, বুধবার
সাধারণ সূচক: (২৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে) ৬৪৯৫ পয়েন্টে
২২ শে জুলাই, বৃহস্পতিবার
সাধারণ সূচক: (৯০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে) ৬৪০৭ পয়েন্টে
২৫ শে জুলাই, রবিবার
সাধারণ সূচক: (২০৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে) ৬২০০.২১৬১২ পয়েন্টে
২৬ শে জুলাই, সোমবার
সাধারণ সূচক: (১২৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে) ৬৩২৫.৭৮ পয়েন্টে


ডিএসই'র গত চার কর্মদিবসের সাধারণ সূচক। শেয়ার মার্কেটে উঠ-নামা থাকবে এটা চিরন্তন নিয়ম। কিন্তু এই উঠ-নামা যদি মানব সৃষ্ট হয় তবে তা নিশচিত ভাবেই নিন্দনিয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই নিন্দনিয় কাজটি যদি খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থাই করে তবে তাদের শাস্তি নিশচিত করবে কে ?

উপরের ডাটাগুল দেখুন বৃহস্পতি-রবি এই দুই দিনে ২৯০ পয়েন্ট সূচক হারিয়েছে ডিএসই শুধু মাত্র এর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্বুদ্ধিতার কারনে। গত মাস ২ ধরে বাজার বেশ উর্ধগামী ছিল, ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেই চাইছিলাম কিছু মূল্য সংশোধন হোক। ডিএসই ও চেষ্টা করছে নান ভাবে
১। লোন-মার্জিন ১: ১'৫ থেকে ১:১ করে
২। লোন সুবিধা পিই ৬০ থেকে পই ৪০ এ কমিয়ে আনা
৩। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজে সর্প্রাইজিং ভিজিট
৪। ২৭০০ টপ ইনভেস্টরের পোর্টফলিও তলব
৫। লোন সুবিধা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ১০ কোটি ও ব্রোকারেজ হাউজের জন্য ৫ কোটি টাকা নির্ধারন। যার ইতিমধ্যেই তা ক্রস করেছেন তা ৩১ শে আগষ্টের মধ্যে সমন্বয় করা।
৬। লোন সুবিধা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ১০ কোটি ও ব্রোকারেজ হাউজের জন্য ১০ কোটি টাকা নির্ধারন। যার ইতিমধ্যেই তা ক্রস করেছেন তা ৩১ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমন্বয় করা।

শেষ ৫ নং সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় গত বুধবার যা কার্যকর হয় রবিবার। আর ৬ নং সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় গত রবিবার (সোমবার থেকে কার্যকরী হয়েছে ) যার কারন হিসাবে বলা হয় মার্চেন্ট ব্যাংকের ও ব্রোকারেজ হাউজের মধ্য লোনমার্জিনের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করা। অথচ ৫নং আদেশের ফল স্বরুপ বৃহস্পড়িবার ৯০ ও রবিবার ২০০ পয়েন্ট সূচক হারায় ডিএসই। ডিএসই বরাররই এই বলে বাজারে নাক গলায় যে তারা ক্ষুদ্র বিনীয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাজারে হস্তক্ষেপ করেন ! তাহলে তারা কি এটা জানেন না যে ক্ষুদ্র বিনীয়োগকারীদের সংখ্যা মার্চেন্ট ব্যাংকের তুলনায় ব্রোকারেজ হাউজেই বেশি ? তবে কাদের স্বার্থের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের লোনমার্জিনে তারা বৈসম্য সৃষ্টি করলেন? কোন ব্রোকারেজ হাউজে থাকা বিনীয়োগকারীদের বাদ্ধ করলেন তাদের মাত্র ৩৮ দিনের নোটিশে লোন মাত্রা ৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনতে ?

ফল যা হবার তাই হয়েছে সবাই শুরু করলেন তাদের শেয়ার বিক্রি যাতে লোন সমন্বয় করা যায়। ফলে ৯৬ এর মহাপ্রলয়ের পর শেয়ার মার্কেটে একদিনে ২০০ পয়েন্ট পতনের রেকর্ড হয় গত রোববার। অর্থাৎ এক দিনেই বাজার হাড়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা । আর এক মূল স্বীকার যে হয়েছেন খুদ্র বিনীয়োজকারীরা তা নিশচিত ভাবেই বলা যায়। ভাগ্য ভল যে আজ মূল্যসূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়েছে।

অর্থাৎ ৪ দিনের মাতাব্বরিতে বাজার হারিয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। সব ঠিক থাকলে হয়ত এ সপ্তাহেই তা কাভার-আপ হয়ে যাবে (যারা শেয়ার বিক্রি করেন নি) কিন্তু ভয় পেয়ে যারা রবিবার তাদের শেয়ার বিক্রি করেদিলেন তাদের কি হবে ? তারা যে অর্থ হারালেন তার দায় কি ডিএসই নেবে ? এভাবেই কি ক্ষদ্রবিনীয়োগকারীরা ডিএসই'র গিনিপিক হয়ে বার বার এস্কপেরিমেন্টের স্বীকার হবে ? আইন-আদালত, এসইসি, সরকার তাদের কি কারই দেখায় চোখ নেই না কি তারা দেখতে চান না ?


সূত্র

শেয়ার বাজার-১১: এখন সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের

অনেক দিন পর আবার শেয়ার বাজার নিয়ে লিখতে বসলাম। মূলত পর্যাপ্ত সময় না পাওয়াই এই সাময়িক বিরতীর কারন। আগস্টের শেষ সপ্তাহে থিসিস জমা দিতে হবে তবেই সেপ্টেম্বরে দেশে ফেরার সুযোগ পাব। কানে ধরছি পিএইচডি কারা চিন্তা সপ্নেও আর মাথায় আনব না :) কোন কুক্ষনেই যে চাকরী ছড়ে বিদেশ বিভূইয়ে মাস্টার্স করার শখ জেগেছিল আল্লাহ মালুম। অবশ ফুলব্রাইট ইউ স্কলার্শিপ পাওয়াটাও এই নির্বুদ্ধিতার জন্য দায়ি। পিএইচডি র জন্য শুধু স্টাডি কস্ট স্কলার্শিপ আকারে দেয়ার অফার পেলাম (মানে লিভিং কস্ট নিজের)। এবার বেশ বুদ্ধি করেই টেকনিকালি 'না' করে দিলাম :)। সেপ্টেম্বরে আমার দেশে ফেরা তাই ঠেকায় কে ? এখন শুধু ভালয় ভালয় সময় মত থিসিস টা জমা দিতে পারলেই হয়। আল্লাহ ভরসা।


নিজের ঢোল অনেক পেটালাম এবার বলেন আপনারা সবাই কেমন আছেন? নিশ্চই ভাল কারন মার্কেটের অবস্থা ও ভাল :)। জুনের ৩য় সপ্তায় বাজার পরে গেলেও জুলাই এর শুরুতেই আবার তা উর্ধমুখী হয়েছে। যার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু সুসংবাদ-

১। গেল প্রান্তিকে (জানু-জুন'১০) ব্যাংক খাতের কম্পানিগুলর আশাতিত মূনাফা অর্জন।
২। বীমা ও নন-ব্যাংকিং কম্পানিগুলর ভাল মূনাফা অর্জন।
৩। UCBL এর প্রত্যাবর্তন।
৪। এইমসের লেনদেন শুরু।
৫। ইয়ার ক্লোজিং শেষে বড় বড় ইনিস্টিটিউশনাল বিনীয়োগকারীদের নতুন বছরের জন্য শেয়ার কেনা।
৬। আরো অনেকগুল কম্পানির ফেস ভ্যালু পরিবর্তনের ঘোষনা।

সব মিলিয়ে বাজার এখন চাঙ্গা আর SEC ও এখন পর্যন্ত কোন ইন্টারাপ্ট ঘটায় নি তাই আরো বেশ কিছু দিন এই অবস্থা চলবে বলে আশা করছি, অন্তরত রমজানের ২য় সপ্তাহ পর্যন্ত। আর পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে রমজানের শেষ ২ সপ্তায়ে বাজার পরতির দিনে যাবে কারন ঈদ পালনের জন্য শেয়ার কেনার তুলনায় বিক্রির চাপ বেড়ে যাবে।

তবে বাজার ভাল অবস্থায় থাকলেও মিচুয়াল ফান্ডগুল থমকে আছে। SEC র নতুন নিয়মের কারনে মিচুয়াল ফান্ডগুল মার্জিল লোন সুবিধা না পাওয়াই এর মূল কারন। আগামীকাল সামিট পাওয়ারের শেয়ার ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে কনভার্ট হবে; এর পর সিরিয়ালে আছে প্রাইম ফাইনান্স। এদের পার্ফরমেন্স আশানরুপ হলে '১০ টালা ফেস ভ্যালু' হুজুগ আরো কিছু দিন বাজারে রাজত্ব করবে।

তবে ব্যাংকিং খাতের ৬ মাস শেষে বেশ ভাল মূনাফা করার সংবাদ এই ইন্ডিকেশনই দেয় যে আগামী দিনগুলতে ব্যাংকিং শেয়ারই বাজারে শক্ত অবস্থানে থাকবে।


গেল ৬ মাসে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক পরিচালন মুনাফা:


বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংক গত ছয় মাসে পরিচালন মুনাফা করেছে ৩৩৫ কোটি টাকা, গত বছরের একই সময়ে করেছিল ২৫০ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক এবার করেছে ৪০০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ২০০ কোটি টাকা। পূবালী ব্যাংক করেছে ২৮৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৮০ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংক করেছে ২৯৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৭৭ কোটি টাকা। ন্যাশনাল ব্যাংক করেছে ৩৬৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৬৪ কোটি টাকা। এনসিসি ব্যাংক করেছে ১৮৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৪৫ কোটি টাকা। ইউসিবিএল ২২৬ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩২ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংক করেছে ১৮১ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১৩০ কোটি টাকা। ব্যাংক এশিয়া করেছে ২১৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৮ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক করেছে ২১০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৭ কোটি টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২৩০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ১০৫ কোটি টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২২০ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৯৩ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১৬০ কোটি, আগের বছর করেছিল ৮১ কোটি টাকা। আল-আরাফাহ্ ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ১৪০ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময় করেছিল ৮০ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। এসআইবিএল করেছে ১০৫ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংক পরিচালন মুনাফা করেছে ৬২ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭৫ কোটি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক করেছে ১৩৯ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭১ কোটি টাকা। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক করেছে ১০৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৭০ কোটি টাকা। ওয়ান ব্যাংক করেছে ১৬৪ কোটি টাকা, আগের বছর করেছিল ৬৮ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক ১৫০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১৫ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে, গত বছর করেছিল ৫০ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা করেছে।

সূত্র: Click This Link

সংযুক্তি : মূল লেখায় বলেছিলাম SEC এখন ও নাক গালানি এই উর্ধগতিরোধে। কিন্তু আমি নিখতে না লিখতেই SEC তার উচু নাক আবার বাজারে ঢোকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে Click This Link এখন দেখা যাক আগামী সপ্তাহ কেমন যায়। মনে হচ্ছে জরুরি হয়ে পড়া কারেকশন হ্য়ত শুরু হবে SEC হস্তক্ষেপে।


সূত্র

শেয়ার বাজার-১০: এবারের বাজেট যেমন হল

টাইটেলে শেয়ার বাজার কথাটা থাকলেও এটা আসলে প্রায় পুরো বাজেট নিয়ে আমার বিশ্লেষন। আবার শেয়ার বাজার নিয়ে যেহেতু লিখি তাই এটা নিয়েও কথা বলতে হবে; সুতরাং আলাদা করে ২ টা পোস্ট না দিয়ে একত্রে দিলাম।

১০ ই জুন বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল বাজেট পেশ করেছেন আমাদের অর্থমন্ত্রী আ মা আ মুহিত(যদিও আমি ডাকি কার্টুন মন্ত্রী; ওনাকে দেখলেই আমার হাসি :) পায়। তবে তিনি তার দায়িত্বে অন্য অনেক হাক-ডাক ওয়ালা হাম্বা মন্ত্রীর চাইতে ভাল করছেন)

জ্বালানী: এবারের বাজেটের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক। বেশ দেরিতে হলেও দেশের নীতিনির্ধরক মহল অবশেষে বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের উন্নতির প্রধান অন্তরায় এখন জ্বালানী তথা বিদ্যুত সংকট । তাই এবারের বাজেটে রেকর্ড পরিমান বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে জ্বালানি খাতে যা গেল বাজেটের তুলনায় ৬১ সতাংশ বেশি। এখন মূল কাজ হল বাস্তবায়ন; সব ঠিক মত করতে পারলে ২০১২ সাল নাগাদ উৎপাদন ও চাহীদার ব্যবধান ঘুচে যাবে। অর্থাৎ লোড শেডিং মুক্ত হবে বাংলাদেশ। শুধু এই একটি কাজ করতে পারলেই এদেশের মানুষ বিশেষ ভাবে মনে রাখবে মহাজোট সরকারকে। আশা করি সরকারও তা অনুধাবন করে দ্রুত কাজ করবে। বিশাল বরাদ্ধ দিয়ে তারা ভাল ভাবে যাত্রা শুরু করেছে, প্রর্থনা করি তারা সফল হোক।

শিক্ষা/সাস্থ/ সমাজ কল্যান : গরিবের নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা এখানে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্ধ নিতান্তই কম। আবার এই বরাদ্ধের সিংহ ভাগই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ খরচ হবে, তাই চোখে পরার মত উন্নতি করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ এই বাজেটে নেই। তবে মুক্তোযোদ্ধা ও ওন্যান্য কল্যানমূলক ভাতা বৃদ্ধি প্রশংসাযোগ্য।

কৃষি/ শিল্প: আওয়ামিলীগ সরকার বরাবরই তলনামূলক ভাবে অন্য সরকারের চাইতে বেশি কৃষি বান্ধব এবং তাদের সবচেয়ে বেশি সাফল্য ও এখানে, এটা সম্ভবত লীগের ঘোড়তর নিন্দুক ব্যাক্তি ও স্বিকার করবে। এর জন্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কাজ দৃষ্টান্তমূলক এবং কোন প্রসংশাই এর জন্য যথেষ্ট নয়। তবে শিল্পের অবস্থা হযবরল। গেল বছরের করুন অবস্থা মন্ত্রী নিজেই স্বিকার করেছেন, এবারের বাজেটেও পূর্বাভাস তেমন ভাল নয়। তাই ভিসন ২০২১ এর '৪০% শিল্পনির্ভর জিডিপি' কে অলিক সপ্ন বলেই মনে হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যান: অর্থমন্ত্রী আবার ও স্বীকার করলেন যে বাংলাদেশের অর্থনীতির অস্কিজেন হল প্রবাসী আয় যা গেল মন্দায় ও এদেশের তেমন ক্ষতি হতে দেয় নি। তবে নতুন নতুন শ্রমবাজার খোঁজার ব্যর্থতা ও বর্তমান বাজার সংকুচিত হবার কথা মন্ত্রী এড়িয়েছেন রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের পরিসংখ্যান দিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত শ্রম রফতানীর ধারার নিম্ন গতি ও শিল্প কাচামাল ও মেশিনারীর আমদানী থমকে যাওয়াই যে এই বিশাল ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের নিয়ামক তা তিনি ইনডাইরেক্টলি স্বীকার করেছেন। তাই এই অবস্থার আশু উন্নতি কাম্য।

যোগাযোগ: বলতে পারেন গরিবের ঘোড়া রোগ আরকি! পদ্মা সেতু-১, পদ্মা সেতু-২, নতুন বিমান বন্দর, পাতাল রেল , এলিভেটেড রেল, ফ্লাই ওভারের ছড়া-ছড়ি এবারের বাজেটে। নতুন বিমান বন্দর এখন বাংলাদেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন তা একটা কোটি টাকার প্রশ্ন অখচ সাস্থ ও সমাজ কল্যান খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ নেই। আর ঢকার যানজট রোধে পাতাল রেল , এলিভেটেড রেল, ফ্লাই ওভার ইত্যাদি সব একসাথে না করে এই তিনটি মেগা প্রজেক্টের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন, যেন কম সময় ও অর্থ ব্যায় করে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু এধরনের কোন সমন্বীত প্রচেস্টা সম্পূর্ন অনুপস্থিত এই বাজেটে। অন্য দিকে যানজট রোধে নতুন-পুরাতন গাড়ি আমদানীর উপর টেস্ক বেড়েছে ফলে ১৬০০ সিসির নিচে সব প্রাইভেট কারের দাম বেড়েছে কিন্তু ১৬০০১ থেকে ২০০০ সিসির দাম কমেছে যা অযৌক্তিক ! নিম্ন-মধ্যবিত্বের সুযোগ কেড়ে নিয়ে উচ্চ বিত্তকে সুবিধা দেয়ার আরো একটি খারাপ নজির এই সরকারও রাখল। এমনকি পাবলিক বাস ও ট্রাকের মত যানবাহনের দাম ও বেড়েছে। মূলত বাস ও ট্রাক বাংলাদেশেয় এসেম্বল করা হয় তাই স্পিটেড বাস-ট্রাক আমদানীর টেক্স বাড়িয়ে সরকার মূলত রেডিমেট বাস-ট্রাক আামদানীকে উৎসাহিত করল। যা স্থানিয় এসেমব্লিং শিল্পের জন্য খারাপ খবর।

তথ্য-প্রযুক্তি: নিজে এই সেক্টের লোক হওয়ায় বাড়তি আগ্রহ নিয়েই চোখ রেখেছিলাম এই অংশে। তবে এবারও হতাশ। আমাদের তথ্য-প্রযুক্তি এখনও নীতিমালা তৈরীর বেড়া-জালেই বন্দি, তাই লেখার বিশেষ কিছু নেই :(। তবে ২য় অপটিকাল মেরিন কেবল কানেশনের খবর এই হতাশা কিনচিত কমিয়েছে।

শেয়ার বাজার: আমার শেয়ার বাগার নিয়ে লেখার নিয়মিত পাঠকরা সম্ভবত এতক্ষনে অনেক বিরক্ত হয়েছেন 'বিশ্লেষণের আতেলীয় তত্ত কথা ' পড়ে তাই আগে ভাল খবরগুল দেই । যোগাযোগ ও জ্বালানী খাতের অনেকগুল মেগা প্রজেক্ট পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হবে এ বছর। তাই শেয়ার বাজার থেকে বেশ বড় অংকের মূলধন যোগানের চেষ্টা হতে পারে (গেল বছরে কিন্তু কিছুই হয়নি)। এছাড়া সরকারি ২৬ টি কম্পানির শেয়ার ছারের ঘোষনা আবার ও দিলেন অর্থমন্ত্রী। আগামি বছর মূলত তেল-বিদ্যুত তথা জ্বালানী খাতে নতুন নতুন কম্পানির আগমন ও উৎথান ঘটতে পারে। এবার খারাপ খবর :) । প্রথমেই ইনিস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের কেপিটার গেইনের উপর ১০% টেক্স আরোপ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে এবারই প্রথম। ১০% টেক্সের ভয়ে যদি ইনিস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে তবে তা বাজারের জন্য খারাপ খবর। এমনিতেই আমাদের বাজারে গেম্বারদের বেশ আনাগোনা, তাই বড় ইনিস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীরা নিস্ক্রিয় হয়ে গেলে এদের দৌরাত্ব আরো বাড়বে যা শেষ বিচারে বাজারকে আরো অধিক মাত্রায় অস্থীতিশীল করে তুলবে। এছাড়া ট্রেডিং হাউডের উপর টেক্স বৃদ্ধির ফলে সাধারন বিনিয়োগকারীদের ব্যয় বাড়বে। এখন ট্রেডিং হাউজগুল ১০০০ টাকার লেনদেনে প্রকার ভেদে ৫-৭ টাকা চর্জ করে; নতুন হিসেবে এটা ১২-১৫ টাকায় চলে আসবে। তাই সরকারের উচিত উভয় টেস্টের অংকই কমান অন্তত পরীক্ষামূলক ভাবে (আমি টেক্স শূন্য করার পক্ষপাতি নই, অন্য ব্যবসায়িরা টেক্স দিলে শেরার ব্যবসায়িদেরও দিতে হবে। আমরা টেস্ক দিতে গড়িমসি করব আবার চাইব সরকার সব কিছুর উন্নয়ন করবে; এই চিন্তা অযৌক্তিক। আমরা টাকা না দিলে সরকার টাকা পারে কোথায় ?)। তবে গতকাল ও আজ বাজারের সাভাবিক আচরন কিন্তু আমার শংকাগুলকে তেমন পাত্তা দেয়নি। দেখা যাক আগামী ২ সপ্তাহ বাজার কেমন যায়, এর পরই রিয়েকশনের মাত্রা টেড় পাওয়া যাবে।


সংক্ষেপে বলা যায় এই বাজেট তেমন আহামরি (জ্বালানী ও যোগাযোগ ছাড়া ) কিছু না হলেও খারাপ নয়। আমাদের মত গরিব রাষ্ট্রের বাজেট এর চেয়ে খুব এখটা ভাল হওয়া ও সম্ভব নয়। তবে জ্বালানী ও যোগাযোগ খাতের উচ্চাভিলাসি মেগা প্রজেক্টগুলর সাফল্য-ব্যার্থতা দিয়েই এই বাজেটকে মূল্যায়ন করা হবে আগামীতে; তাই সরকারের উচিত এই দুই খাতে বিশেষ করে জ্বালানী খাতে বিশেষ নজড় দেয়া। কায়মনো বাক্যে প্রর্থনা করি লীগ সরকার অন্তর্ত এই ক্ষেত্রে সফল হোক। আমরা যে যেই রাজনৈতিক মত ধারারই হই না কেন, লীগ সরকারের এই একটি সাফল্য আমরা দল-মত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশী মিলিত ভাবে চাই। প্রত্যাশা করি তারা সফল হবে। বড় বড় কথা আর প্রতিশ্রুতির তুফান থামিয়ে এবার তাদের করে দেখাবার পালা। মুখের চাইতে কর্মের মাধ্যমেই তারা তাদের সমালোচনার জবাব দিক। ব্যার্থ হলে ভিসন ২০২১ এর সপ্ন শুধু শেখ হাসিনার অলিক সপ্ন হিসেবেই আগামী প্রজন্মের কাছে চিন্হীত হবে।


সূত্র

শেয়ার বাজার-৯ : প্রয়োজন ধৈর্য ও বিবেচনাবোধ

অবশেষে শেয়ার বাজারে শুরু হয়েছে কাঙ্খিত কারেকশন বা রি-এডজাস্টমেন্ট। অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ট বিনিয়োগকারীর কাছে এই পরতি বাজার অনাকাঙ্খিত হলেও যারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী তাদের কাছে এই অবস্থা সাদরেই গৃহিত হচ্ছে, কারন গত মাস তিনেকের উর্ধগতির ফলে বাজার হয়ে পড়েছিল অতিমূল্যায়িত। ফলস্বরুপ বিনিয়োগ ঝুকি বেড়ে গিয়েছিল বহু গুনে। তাই সচেতন বিনিয়োগকারীরা হাত গুটিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন। ব্যক্তিগত ভাবে গত ২ মাসে আমি শুধু বিক্রিই করেছি; ২-১ টা ব্যতিক্রম ছাড়া কেনার চেষ্টা করিনি। পরিচিত অনেককেই ঠিক একই কাজ করতে শুনেছি এবং করতে বলেছি। আশা করি তারা এখন বুঝতে পারছেন কেন নতুন কিছু কিনতে নিরুৎসাহিত করেছিলাম।

মোটা দাগে আমাদের বাজারে ২ শ্রেনীর শেয়ার ক্রেতা রয়েছে - এখ দল শেয়ার বিনিয়োগকারী আর আরেক দল শেয়ার ব্যবসায়ি। বিনিয়োগ আর ব্যবসার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা অনেকেই বুঝতে অক্ষম।

বিনিয়োগকারী: বিনিয়োগকারী তারাই যারা কম্পানির আয়-ব্যায় অর্থাৎ লাভ-লোকসানের উপর ভিত্তি করে শেয়ার কেনে এবং বিক্রির জন্য আদর্শ সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। তাই পড়তি বাজার তাদের জন্য কেনার সময় আর উর্ধমূখী বাজার হল বিক্রির সময়। আর আমাদের শেয়ার বাজারের বেশির ভাগ কম্পানির বৎসর সমাপনী মাস যেহেতু ডিসেম্বর সেহে্যতু মার্চ-মে হল বিক্রির সময়। আবার অক্টবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে যেহেতু কম্পানিগুল তাদের অর্ধবার্ষিক আয়ের হিসাব দিয়ে দেয় তাই এই সময়টা হল কেনার মৌসুম।

ব্যবসায়ি: এরা মূলত বাজারে বিভিন্ন গুজব ও হাইপ সৃষ্টি করে বিশেষ কোন শেয়ারের ভার্চুয়াল প্রাইস গেইন ঘটায় এবং এটা নিয়ে ব্যবসা করে। যেহেতু এই দাম বৃদ্ধির সাথে মূল কম্পানির আয় রোজগারের কোন সম্পর্ক নাই তাই এটা অনেকটা গ্যাস ভরা বেলুনের মত ফুলতেই থাকে কারন অজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা তখন এই কাতারে সামিল হয়ে দাম বারায়। আর পরিনতি স্বরুপ লাইনের শেষ প্রান্তে দাড়ান মানুষগুলর পকেট খালি হয়। এমনই একটা হাইপ (১০ টাকা ফেস ভ্যালু) গত ১ মাস শেয়ার বাজার চাঙ্গা রেখেছে। রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে বাজার হয়ে পড়েছে সেচুরেটেড যার ভবিস্যাৎ একটাই পতল। বাতাস ছেড়ে দেয়া বেলুনের মত আরকি :)

তবে এই পতন অবসম্ভাবি হলেও বেশ আগে ভাগেই চলে এসছে। যার অন্যতম প্রধান কারন এবারের বাজেট। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না থাকা, কেপিটাল গেইনের উপর ১০% কর আরোপ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর টেক্স না কমানো - এগুলকে আপাত কারন মনে হচ্ছে অর্থাৎ এবারের বাজেটে শেরাব বাজার তথা এতে লিসটেড কম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন সুখবর নাই। আর যেহেতু বাজারের ডিভিডেন্ড দেয়ার মৌসুম শেষ তাই মন্দার এই আগাম আগমন।

তবে বাজেটে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের টেক্স ও টিআইএন এর বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তির ঘোষনা বাজারকে উর্ধমুখী করতে না পারলেও এর তড়িৎ পতন ঠেকিয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ি যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর টেক্স (৪০%) কমান না ই হয় তবে এই পতনে সাময়িক বিরোতি টানা সম্ভব নয়।

আবার ঐতিহ্য গত ভাবেই জুলাই-অক্টোবর হল ডিএসই'র ডাল পিরিয়ড। এর সাথে যুক্ত হয়েছে জিপির লকইন উঠে যাওয়ার সময় সূচি। আগস্টের ৩য় সপ্তাহেই জিপির ৫% শেয়ারের লকইন উঠে যাবে মানে তখন বাজারে আসবে এখনকার সমপরিমান নতুন শেয়ার। যদি প্রিআইপিও পাওয়া কম্পানিগুল এই শেয়ার বিক্রির জন্য ছেড়ে দেয় তবে ঠিক কি ঘটবে আল্লাই জানে। আমি প্রেডিকশন করছি নিম্নের ২ টা ঘটনার যে কোন একটা ঘটবে-

১। জিপির দাম মেনুপুলেট করে বাড়ান হবে এবং এর পর নতুন শেয়ারগুল বেশি দামে বিক্রি করা হবে। ফল স্বরুপ আবার মার্কেট আপ হয়ে ১-২ মাস কন্টিনিও করে পুনরায় পতন।অর্থাত শেষ বিচারে কিছু নির্বোধ বিনিয়োগকারীর পকেট খালি ।

২। ধীর গতিতে শেয়ারগুলর বিক্রি শুরু হবে ফলে প্রি-আইপিও পাওয়া রাঘব বোয়ালরা কাঙ্খিত মুনাফা পাবে না। তবে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা খুব কম :(

আর আগের পোস্টে পতন থেকে বাচার উপায় নিয়ে কথা বলেছিলাম। আসা করি ইতিমধ্যেই সবাই পতল মোকাবেলার পূর্বপ্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন :)। আমি কিন্তু বেশ আগেই প্রস্তুত, ইতি মধ্যেই ৬০% শেয়ার কেশ করে ফেলেছি এখন শুধু কম দামে নতুন শেয়ার পকেটস্থ করার অপেক্ষা। উপভোগ্য হোক আপনাদের সকলের পড়তি বাজারে কেনা-কাটা।



সূত্র

শেয়ার বাজার-৮ : পতন থেকে বাচার উপায়

গেল দুই-তিন সপ্তাহ জুড়ে বাজার বেশ ভাল যাচ্ছে, তাই ধরে নিচ্ছি শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্ট সবার মন-মেজাজ বেশ ভাল :)। আমিও বেশ ভালই আছি পকেটের সাথে সাথে মন ভাল থাকার গ্রাফ ও উর্ধমূখী।

কিন্তু সমস্যা একটাই :) মন বেশী দিন ভাল থাকলে যেমন 'ভাল থাকা' -কে বোরিং মনে হবে ঠিক তেমনি ভাবে শুধু বুলিশ মার্কেটও বোরিং। আর কথায় আছে যা দ্রুত বাড়ে তার পতনও হয় দ্রুত। সুতরাং এই বুলিশ ট্রেনন্ডের পতন শুধু সময়ের ব্যপার, আমার ইন্সটিংক বলছে জুনের শেষ বা জুলাই এর শুরুতেই বাজার পড়তে শুরু করবে। কি? অনেকেই হয়ত ইতি মধ্যে আমাকে অভিশাপ দিতে শুরু করেছেন, মনে মনে বলছেন ভাল সময়ে একি অলুক্ষুনে কথা !

আমি কিন্তু বারিশ মার্কেট বেশ পছন্দ করি কারন বর্ষায় ইলিশ কেনার মত করে কম দামে রুই-কাতলা সাইজের শেয়ার পকেটস্থ করার জন্য ডাউন মার্কেটই হল আদর্শ সময় :)। কি বিশ্বাস হচ্ছে না, হয়ত ভাবছেন বেটা পাগল নাকি লসের টেনশনে যেখানে অস্থির খাকার কথা সে সময় বেটা নাকি থাকে ফুর্তিতে !

এবার আমার ফুর্তিতে থাকার সিক্রেটগুল আপনাদের জানাই, ঠিক মত এপ্লাই করতে পারলে আপনিও যে ফুর্তিতে থাকবেন তা নিশচিত।

টেকনিক-১ : এভারেজিং : এর আগে পোর্টফলিও ডিজাইনের ক্লাসে (সরি পোস্টে। এটা নিয়ে লিখতে বসলে নিজেকে কেমন যেন মাস্টার মাস্টার মনে হয় :( পাঠকরা কিছুই শেয়ার করে না, আমি সব জানি এমনত নয়; ২-১ টা টেকনিক আমারেও শেখান .........নাইলে কিন্তুক কেলাশ বনধ X(( X(( ) বলেছিলাম যে পোর্টফলিও ছোট হলে (৩ লাখের কম) ১০% আর বড় হলে ১৫% টাকা কেশ হিসাবে বিও একাউন্টে রাখবেন । যখন দেখবেন যে আপনার শেয়ারের দাম কমছে তখন চোখ রাখুন, লস ১০% টপকালেই লাল বাত্তি মানে আপনাকে কিছু একটা করতে হবে। যদি আপনি এভারেজিং করতে চান তবে কেশ টাকা থেকে একই শেয়ার আবার কিনুন যাতে গড় দাম কমে আসে। একবারে না কিনে ছোট ছোট লট আকারে কিনুন। একটা ব্যপার লক্ষ করবে যে ডাউন মার্কেটেও ২-১ দিনের জন্য আপনার শেয়ারের দাম বেশ বারছে-কমছে, ঠিক তখন ঐ দিনের দাম যদি আপনার আগে কেনা কোন লটের দামের চেয়ে ৫% বা তার বেশি হয় তবে বেচে দিন, দাম আগের স্থানে এলে আবার কিনুন। এভাবে এভারেজিং করে করে বেশী দামে কেনা শেয়ারের দাম কমিয়ে আনা যায়।

টেকনিক-২ নেটিং: ধরুন আপনার কোন কেশ নাই (খুবই খারাপ কথা X( পাবলিকরে শেখাইলেও শেখে না :) ) তখন আপনাকে করতে হবে নেটিং । বেশী উঠা-নামা করে এমন শেয়ারের জন্য আদর্শ টেকনিক। ধরুন সকালে যার দাম ১০ টাকা অনেক সময় বিকালেই তা ১৫ টাকায় চলে আসে আবার সলালে যা ৩০ টাকা দিন শেষে তা ২০ টাকায় নামে । এমন হলে একই দিনে কম দামে ২-৩ লট কিনুন এবং বেশী দামে হাতে থাকা ২-১ লট বেচুন। কেনা-বেচা করে গড় দাম কমিয়ে আনুন।

শেষের উপায় টা কোন টেকনিকের পর্যায়ে পড়ে না এবং এটা বেশ রিস্কি। যখন দেখবেন আপনার লস ১৫% ক্রস করেছে তখন তা দ্রুত বেচুন এবং কমদামে তুলনামূলকা ভাল ও নিশচিত লাভ হবে এমন শেয়ার (ব্যাংক এ ক্ষেত্রে আদর্শ) কিনে মার্কেট আপওয়ার্ড হবার জন্য অপেক্ষা করুন যাতে আপনি ১৫% লস কাটিয়েও লাভের মুখ দেখতে পারবেন।


এই টেকনিকগুল অবশ্য এমেচার বা সেমি প্রফেশনাল ইনভেস্টরদের জন্য উপযুক্ত। শেয়ার বাজার যাদের একমাত্র আয়ের উৎস তাদের পক্ষে প্রথম ২ টা টেকনিকই উপযুক্ত। আশা করি আগামী জুলাই-আগস্টে বাজার ডাউন হলে আর ভয় পাবেন না। আর জানেনত ঐতিজ্যগত ভাবেই আগস্ট-অক্টোবর হল ডিএসই র জন্য ডাউন টাইম :) তাই প্রস্তুন (কেশ হাতে রাখুন) হোন শীত আসে গেছে প্রায় হা হা হা ।



সূত্র

শেয়ার বাজার-৭ : ফেস ভ্যালু ১০ টাকার কেরামতি

বেশ কিছু দিন ধরেই শেয়ার বাজার '১০ টাকা ফেস ভ্যালু' জ্বরে আক্রান্ত। ঘটনার সূত্রপাত হয় অর্থ-বানিজ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদিয় স্থায়ীকমিটি কর্তৃক সকল শেয়ারের ফেস ভ্যালু একই মানে নামিয়ে আনার সুপারিশ করাকে কেন্দ্র করে। যেহেতু বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বেশির ভাগ স্টক সিকিউরিটির ফেস ভ্যালু ১০০ টাকা, তাই শুরুতে প্রস্তার ছিল অন্যগুলের ফেস ভ্যালু ১০০ টাকায় রূপান্তর করার।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী ও এসইসির ইচ্ছায় তা ১০ টাকায় নির্ধারনের পক্ষে মতামত আসা শুরু হয়। এর ফলে বাজারের অতিমূল্যায়িত শেয়ারগুলোর দাম সাধারন ক্ষুদ্র বিনীয়োগকারিদের হাতের নাগালে আসবে বলে মত প্রকাশ করা হয়। তাদের এই যুক্তির যেমন বাস্তব ভিত্তি রয়েছে তেমন উচ্চ মূল্যায়িত বাজারকে নিয়ত্রনের জন্য অন্যান্য শেয়ার বাজারেও একই প্রকৃয়া ব্যাবহৃত হয়েছে অতিতে।

ঘটনা এই পর্যন্ত আশা ব্যান্জ্ঞক হলেও গুজবসৃষ্টিকারী জুয়ারিদের সুদৃষ্টি (!) পড়ায় অতিদ্রুতই এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক কান-কানি এবং 'ফেস ভ্যালু ১০ টাকা হলে ব্যাপক লাভ হবে' এই গুজবের কারনে হু-হু করে দাম বাড়া শুরু হয় ১০০ টাকা মূল্য মানের শেয়ারসমুহের। ঘটনার ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা টের পেয়ে এসইসি 'কোন কম্পানি যেন ফেস ভ্যালু পরিবর্তন না করে' এই মর্মে রুল ইশু করে। কিন্তু সরিসায় থাকা ভুতের মতই এসইসি কিছু কম্পানিকে ভ্যালু পরিবর্তনের অনুমতি দিলেও অন্যকিছু কম্পানিকে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠায়।

এই দিকে ১০০ টাকার ফেস ভ্যালুর শেয়ারসমুহের দাম বাড়তেই থাকে। অপরদিনে কিছু কিছু কম্পানিও তাদের ফেস ভ্যালু পরিবর্তনের ঘোষনা দিয়ে মাঠ গরম রাখে। এর পেছনে কৃয়াশীল সেই বিশেষ চক্রের সপ্ন পুরন করতেই যেন তিন দিন আগে জারি হল অর্থমন্ত্রনালয়ের নির্দেশ - 'যে কোন কম্পানি চাইলেই নিজেদের ফেস ভ্যালু বদলাতে পারবে'।


আসুন দেখি শেয়ার এর ফেস ভ্যালু ১০০ টাকা থেকে ১০ টাকায় নামিয়ে আনলে কি কি ঘটবে

শেয়ার - ক
ফেস ভ্যালু- ১০০ টাকা
মোট শেয়ার- ১০,০০০
শেয়ার প্রতি আয়- ৫০ টাকা
বাজার মূল্য - ৬০০ টাকা
লট - ৫০

এখন এর ফেস ভ্যালু ১০ টাকায় নামালে যা ঘটবে

শেয়ার - ক
ফেস ভ্যালু- ১০ টাকা
মোট শেয়ার- ১,০০,০০০
শেয়ার প্রতি আয়- ৫ টাকা
বাজার মূল্য - ৬০ টাকা (ঐকিক নিয়মে হওয়া উচিত)
লট - ৫০ (৫০ টি হতে পারে আবার ৫০০ টি ও হতে পারে)

এর মানে দাড়াচ্ছে ফেস ভ্যালু পরিবর্তনের সাথে কম্পানির অর্থিক আয় বাড়া/কমার কোন সম্পর্ক নেই (শেয়ার প্রতি আয়)। সম্পর্ক আছে বাজার মূল্য পরিবর্তনের। গুজব সৃষ্টিকারীদের যুক্তি হল এত ভাল শেয়ার নিশ্বই ৬০ টাকায় বিক্রি হবে না; হবে আরো বেশি দামে এমনটি তা ৮০-৯০ ছাড়িয়ে ১৩০-১৫০ এর ঘরেও পৌছে যেতে পারে। আর এই বিপুল লেভের মোহে নতুন ও অগ্য বিনিয়োগকারীরাও ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মত যার প্রকাশ ঘটেছে গত কাল রেকর্ড পরিমান ২০০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।

খুব ছোট হলেও একই ঘটনা ঘটেছিল সম্ভবত ২০০৭ এর শেষ দিকে। ইসলামি ব্যাংক তাদের ১০০০ টাকা ফেস ভ্যালুর শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০০ টাকায় এবং লট ১ টি থেকে ১০ টি তে পরিবর্তনের ঘোষনা দেয়। গুজব ও প্রত্যাশার চাপে ৩-৪ দিনেই ৫৭০০-৫৭৩০ মূল্যের শেয়ারের দাম ৮০০০ টাকায় পৌছে। রেকর্ড ডেটের পর যখন বিভক্তিকরন শেষ হল তখন সেই শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠল ৬৫০ টাকা ! যা ১ মাসেই ৬০০ নিচে নেমে যায় :(

হ্যা ফেস ভ্যালু পরিবর্তনের কারনে ৫৭০ টাকার শেয়ার ৬০০ টাকায় বিক্রী হলেও তার স্থায়ীত্ব ছিল ১ মাস। সুতরাং যারা ৮০০০ টাকায় শেয়ার কিনেছিল তারা শেয়ার প্রতি লস দিল ৮০০-৬০০ =২০০ টাকা আর বিভক্তিকরনের পর পর যার শেয়ার কিনল তারা হারাল ৬৫০-৫৯০ = ৬০ টাকা।

এই মূল্য পতনের প্রধান কারন হল তখন শেয়ারটির আর্থিক ভিত্তি এতটা ভাল ছিল না যে এর দাম ৬০০ এর উপরে থাকবে যদিও এই শেয়ারটি ডিএসইর অন্যতম স্ট্রং ফান্ডামেন্টাল শেয়ারগুলর অন্যতম ছিল।

তাই এখন যারা গুজবের পেছনে ছুটছে অতি শিঘ্রই তাদেরকে শাপলা চত্তরে বা ডিএসইর সামনে মূল্যপতনের জন্য মিছিল করতে হবে। বিনিয়োগ যেহেতু আপনার সুতরাং লাভ-লোকসান দুটই আপনার। সুতরাং এখনই ভাবুন সাবধান হবেন, না কি কষ্টার্জিত টাকা হারিয়ে রাস্তা-ঘাটে আন্দলোন ভাংচুর করে হতাশা প্রকাশ করবেন।


http://www.somewhereinblog.net/blog/quest/29154462সূত্র

শেয়ার ব্যবসা-৬: যে ভাবে ঘোষিত হতে যাওয়া ডিভিডেন্ট হিসাব করবেন

ডিভিডেন্ট ডিক্লারেশন সব সময়ই শেয়ার বাজারের ঐ শেয়ারের দামের উপর গুরুত্বপূর্ন প্রভাব ফেলে যা খারাপ-ভাল দুই প্রকারেরই হতে পারে। ডিভিডেন্ট ডিক্লারেশন হল একটি কম্পানির স্টেটেজিকাল বিজনেস ডিসিশন ফলে আগে থেকে তা অনুমান করা বেশ দূঃস্বাদ্ধ কাজ (তবে আমাদের দেশে লিকআউটের ঘটনা প্রায়ই ঘটে :) )। তবে কম্পানির পরিচালনা পরিষদ যদি কোন বিশেষ সিচুয়েশন দ্বারা বায়াসড নায় হয় তবে আপনি বেশ সহজেই ঘোষিত হতে যাওয়া ডিভিডেন্ট সম্পর্কে আগাম ধারনা পেতে পারেন।

আসুন একটি উদাহরনের মাধ্যমে প্রকৃয়াটি দেখি -

Business Segment: Bank (ডিএসই তে লিস্টেড একটি ব্যাংক। নীতিগত কারনে নাম ডিসক্লোজ করতে না পাড়ার জন্য দুঃখিত)

Authorized Capital in BDT* (mn) 5000.0
Paid-up Capital in BDT* (mn) 3822.0

দুটর মধ্যে বেশ বড় ধরনের ব্যবধান করেছে। আবার বেসেল-২ বাধ্যবাদকতার জন্য ব্যাংকের মূলধন বৃদ্ধি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের কেশের পরিবর্তে বোনাস শেয়ার ঘোষনা করার সম্ভবনা প্রবল।

Bonus Issue 30% 2008, 40% 2007, 75% 2006,200% 2005, 100% 2004,25% 2001

---পূর্ববর্তী বছরগুলতেই একই ধারা লক্ষ করা যায়।

সাল - EPS- ডিভিডেন্ট
2001 203.61 25%B
2002 199.11 -
2003 94.92 -
2004 67.35 100%B
2005 143.36 200%B
2006 70.46 75%B
2007 64.45 40%B
2008 51.54 30%B
2009 n/a ?

সাম্প্রতিক বছরগুলতে ঘোষিত ডিভিডেন্ট । যেহে্যু 2001 2002 ও 2003 এর ঘোষিত ডিভিডেন্ট আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ন ফলে তা শোধরাতে 2004 2006 2007 এ অতিরিক্ত ডিভিডেন্ট দেয়া হয়েছে। তাই আমরা 2007 2008 এর ঘোষিত ডিভিডেন্টকে স্টেন্ডার্ড ধরে আমাদের কেলকুলেশন করব -


2007 এ EPS- ডিভিডেন্ট এর অনুপাত 0.62
2008 এ EPS- ডিভিডেন্ট এর অনুপাত 0.58

অতএব এভারেজ অনুপাত 0.60 কে আমরা বেজ ধরমাম 2009 এর জন্য

Basic EPS in BDT* 37.03 (Q3 -9 Month)

এখন প্রতিটি কম্পানি ৩ মাস পর পর তাদের আয়ের হিসার দেয় (যা হল সাম্ভাব্য হিসার ; একুরেট নয়) । ৯মাসের আয়কে (37.03) ১২ মাসে রিফলেক্ট করলে দাড়ায় 49.37।

সুতরাং এই কম্পানির সাম্ভাব্য ডিভিডেন্ট হবে (49.37 * 0.60 ) = 29.6%B


এবার আসুল দেখি আমাদের প্রেডিকশন কতটা সঠিক ছিল। 2009 সালের জন্য কম্পানিটি নিম্নক্ত ডিভিডেন্ট ঘোষনা করেছে

Basic EPS in BDT* (Q4 -12 Month) 54.74
Dividend : 30%B


দেখতেই পাচ্ছেন আমাদের প্রেডিকশন বেশ ভালই ছিল (নিজেকে ত এখন যতিশি যতিশি মনে হচ্ছে :) । রেজাল্ট দেখে আমি নিজেও একটু অবাক হয়েছি )। আর এর মূল কারন -

১। কম্পানি তার Dividend সংক্রান্ত সাধারন ফর্মূলা থেকে সরে আসেনি।
২। কম্পানির শেষ ৪ মাসের আয় পূর্ববর্তী মাসগুলর মতই সচল ছিল।
৩। কম্পানি আয় সংক্রান্ত অতিরন্জিত/ ভুল কোন সংবাদ পূর্বে প্রকাশ করেনি

** উপরে বর্নিত উপায়টি মূলত সাধারন কেলকুলেশনের উপর ভিত্তি করে রচিত। সব সময় তা ১০০% কারেক্ট হবে তার কোন নিশ্বয়তা নাই তবে অতিপ্রাকৃত কোন ঘটনা না ঘটলে এর একিউরিসি রেট ৮০-৯০%।

অট: এই পর্বের মধ্য দিয়েই শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সিরিজটির সমাপ্তি ঘটছে। জানি না আমার ক্ষদ্র জ্ঞানের কতটুকু পাঠকদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি। আশা করি আমার এই প্রচেষ্টা কিছুটা হলেও আপনাদের উপকারে লাগবে। যদি তা সত্যিই আপনাদের কাজে লাগে তবে তাই হবে এই সিরিজের স্বার্থকতা।



সূত্র

শেয়ার ব্যবসা - ৫: শেয়ার কেনার আগে যা যা দেখবেন

বিশেষ করে নতুন শেয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য এই পোস্ট, যারা সাধারনত বন্ধু বা পরিচিত কারো কথা শুনে তাদের প্রথম বিনিয়োগ স্বীদ্ধান্ত নেন। আর বলাই বাহুল্য বেশির ভাল ক্ষেত্রেই ধরা খান :) আমার নিজের অভিগ্যতাও তাই। এই একবারই লস দিয়েছি, বলতে পারেন ঢুশ খেয়ে হুশ হয়েছে আর কি :)

এর আগের পোষ্টে একটা চেক লিস্ট দিয়েছিলাম আজ হাতে কলমে মানে এখটা উদাহরন দিয়ে ব্যাখ্যা করব।

DSE তে শেয়ার কেটাগরি রয়েছে ৫ টি -

১। A - নিয়মিত AGM ও নূন্যমত ১০% লভ্যাংশ প্রদানকারী।
২। B- নিয়মিত AGM করলে ও ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদানকারী
৩। G- বাজারে অন্যর্ভূক্ত হলেও উৎপাদনে না যাওয়া কম্পানি।
৪। N- বাজারে অন্যর্ভূক্ত নতুন কম্পানি।
৫। Z- আনিয়মিত AGM ও ৬ মাস বা অধিক সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ।

এ ছারা ব্যাবসার ধরন অনুযায়ি ২১ রকমের শেয়ার রয়েছে বাজারে -

ব্যাবসার ধরন - কম্পানি সংখ্যা
1 Bank 29
2 Cement 7
3 Ceramics Sector 4
4 Corporate Bond 2
5 Debenture 8
6 Engineering 22
7 Financial Institutions 21
8 Food & Allied 23
9 Fuel & Power 10
10 Insurance 44
11 IT Sector 5
12 Jute 3
13 Miscellaneous 11
14 Mutual Funds 24
15 Paper & Printing 2
16 Pharmaceuticals & Chemicals 20
17 Services & Real Estate 6
18 Tannery Industries 5
19 Telecommunication 1
20 Textile 27
21 Treasury Bond 164

সূত্র: http://www.dsebd.org/by_industrylisting1.php

এবার আসুন আমরা নিম্নক্ত শেয়ারটি কেনার ব্যাপারে স্বীদ্ধান্ত নেই -

কম্পানি : ক (যদিও এটি কোন কল্পিত কম্পানি নয় )

কেটাগরি: IT Sector - মাত্র ৫ টি কম্পানি রয়েছে এই কেটাগরিতে সুতরাং তা মেনুপুলেট করা তুলনামূলক সহজ

Last Trade 50.00
52 Week's Range 26.5 - 88.9 - দাম বেশ ফ্লাকচুয়েট করে
Face Value 10.0
Market Lot 500
Market Category A - ভাল
Electronic Share Y - ভাল
Total no. of Securities 22853600
Share Percentage: Sponsor/Director 52.24 Govt.0 Institute 0 Foreign 0 Public 47.76
Total no. of Securities 22853600
মানে প্রায় ১,০৯,৬৭, ৯২৮ (Total no. of Securities*Share Percentage) টি শেয়ার ও ২১,৯৩৯ টি লট (১,০৯,৬৭, ৯২৮/৫০০) রয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীর হাতে। অর্থাৎ বেশ ভাল ভাবেই একে মেনুপুলেট করা সম্ভব।

Authorized Capital in BDT* (mn) 300.0
Paid-up Capital in BDT* (mn) 229.0

দুট বেশ কাছাকাছি ফলে বোনাস শেয়ার পাবার সম্ভবনা কম আর পেলেও তার পরিমান বেশ কম হবে।

Last AGM Held: 24/12/2009
Bonus Issue 12%B 2009, 6% 2008, 10% 2007 - পূর্বের ইতিহাস ও তাই বলে ( বোনাস শেয়ার পাবার সম্ভবনা)
Right Issue n/a
Year End 200906 - আর এখন এপ্রিল মানে ২ মাস পরেই লভ্যাংশ ঘোষনা করবে। ফলে দামও বেশী হবে।
Current Price Earning Ratio (P/E)
(Based on Continuing operation) 52.19
Basic EPS in BDT* (Based on continuing operations) 0.24

শেয়ার প্রতি আয় মাত্র ০'২৪ ও P/E ৫২ ! যা কোন মানদন্ডই ২০ সর্বোচ্চ ২৫ এর বেশি হওয়া উচিত নয়। আর আমাদের টাকা যেহেতু কম সেহেতু অনেক বেশি লট কিনে বাজার নিয়ন্ত্রন করাও আমাদের মত ছোট বিনিয়োগকারীর পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং এই শেয়ার না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

অট : সিরিজটির পাঠক সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমছে :( তাই এটা আর কন্টিনিউ না করার চিন্তা করছি)। সবাই ভাল হচ্ছে...চালিয়ে যান টাইপ কমেন্ট করছেন কিন্তু আমি চাই সবাই আরো খোলা-খুলি ভাবে আলাপ আলোচনা করুক যাতে আমি নিজেও কিছু শিখতে পারি। শেখার- শেখানর কাজটা ওয়ান ওয়ে না হয়ে বোথ ওয়ে হওয়া উচিত।



সূত্র

শেয়ার ব্যবসা - ৪: মিচুয়াল ফান্ড, বন্ড, জিরো কুপন বন্ড কি ?

ডিএসই -এর নতুন বিনিয়োগকারীদের প্রধান সমস্যা হলো তথ্যের অভাব ও জ্ঞানের সল্পতা ফলে অতি সহজেই গুজব ও ভুল তথ্যের উপর নির্ভর করে ধরা খাওয়া এক কথায় অতি সাধারন ঘটনা নতুনদের জন্য। এ রকম একটা ব্যপার নিয়েই আজকের আলোচনা করি, কি বলেন?
নতুনদের পাশাপাশি শেয়ারবাজারের অনেক বিনিয়োগকারীই সাধারন শেয়ার, মিচুয়াল ফান্ড, জিরো কুপন বন্ড, বন্ড ইত্যাদির পার্থক্য বোঝেন না। ফলে সবগুলকেই এক জিনিস মনে করে ধরা খান।

মিচুয়াল ফান্ড: ধরুন আপনার বন্ধু করিম অনেক দিন ধরেই শেয়ার বাজারে আছে। ছোট বড় ঠেলা-ধাক্কা খেয়ে স্বশিক্ষিত হইছে :) মানে ব্যবসাটা বেশ ভালই বোঝে আর কি । তাই নতুন বিনিয়োগকারী বন্ধুরা মিল্লা ঠিক করলেন একা একা ধরা না খাইয়া সবার পুজি করিমরে দিলেন ব্যাবসার জন্য যাতে সে নিজের বুদ্ধি খাটিইয়া ভাল ব্যবসা করবার পারে।

মানে বলতে পারেন এক ধরনের সমবায় সংঘ যার পরিচালনার ভার পরেছে আপনার ঐ বন্ধুর কাধে। ঠিক এই কাজটিই করে মিচুয়াল ফান্ড ম্যানেজার, ফান্ডের ই্উনিট হোল্ডারদের টাকা বিনিয়োগ করা হয় শেয়ার বাজারে এবং এই বিনিয়োগের লাভ-লোকশানের অংশিদার হল ফান্ডের ই্উনিট হোল্ডারগন। সুতরাং মিচুয়াল ফান্ড কোন কম্পানি শেয়ার নয় এবং তার আয়-রোজগার সম্পূর্ন নির্ভরকরে শেয়ার বাজারের খারাপ-ভাল অবস্থার উপর।

ধরুন মিচুয়াল ফান্ড ক এর মোট মূলধন ১০,০০০ টাকা এবং ইউনিট সংখ্যা ১০০ অর্থাৎ ফেস ভ্যালু ১০ টাকা। এই টাকায় শেয়ার ১,২,৩ কেনা হয়েছিল শুরুতে যার বর্তমান বাজার মূল্য ১২,৫০০ টাকা। মানে মিচুয়াল ফান্ডের বেসিক NAV ১০ টাকা এবং চলতি NAV ১২'৫ টাকা। ধরুন বছর শেষেও একই অবস্থা অতএব প্রতি ইউনিটে আয় ২'৫ টাকা যার ১ টাকা বোনাস দেয়া হল এবং বাকি ১'৫ আগের ১০ টাকার সাথে যোগ করে পুনরায় বিনিয়োগ করা হলো। এই ভাবে ৩-৪ বছর পর দেখা গেল ঐ মিচুয়াল ফান্ডের বেসিক NAV ১৪ টাকা এবং চলতি NAV ১৭'৫ টাকায় দাড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হল আপনি এই মিচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কিনতে গেলে কত টাকায় কিনবেন ?

আইডিয়াল সিচুয়েশনে ১৪ টাকা এবং রিয়েল সিচুয়েশনে ১৭'৫ টাকা বড় জোর ১৮-২০ টাকা। কিন্তু আমাদের বাজারে এই শেয়ার বিক্রি হয় ৩০-৫০ টাকায়। পৃথিবীর সব মার্কটে মিচুয়াল ফান্ড ইউনিটের দাম তার চলতি NAV এর ধারে কাছে হয়।

জিরো কুপন বন্ড বা বন্ড : এটা অনেকটা সরকারী সন্চয় পত্রের মত পার্থক্য হল এর কিছু অংশ মেয়াদ শেষে শেয়ারে কনভার্ট হয়। ধরুন কম্পানি খ ৫ বছর মেয়াদি ১,৫০০ টাকার বন্ড ছাড়ল যা ১০০০ টাকায় বিক্রি হবে এবং এর ১০% শেয়ারে কনভার্ট করা হবে। এখন আপনি এই বন্ড ১০০ টা কিনলেন।

বিনিয়োগ: ১০০০*১০০ =১,০০,০০০ টাকা

এখন ৫ বছর পর আপনি পাবেন -

১৫০০*৯০ =১,৩৫,০০০ টাকা এবং ঐ কম্পানির ১০ টি শেয়ার।

প্রসংগত এই ৫ বছরে কম্পানি আপনাকে কোন লভ্যাংশ দেবে না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটা সাধারন শেয়রের মত নয়। মূলত ধীর্ঘস্থায়ী বিনিয়োগের জন্যই বন্ড কেনা উচিত।


এই বন্ড ও মিচুয়াল ফান্ড মূলত সবচেয়ে সেফ বিনিয়োগ হিসেবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় এবং এগুলোর দাম খুব বেশি ওঠা-নামা করে না অর্থাৎ তা বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে । অথচ আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীদের অগ্যতার সুযোগ নিয়ে বেশি দামে এগুল তাদেরকে গছিয়ে দেয়া হয় যা বাজারকে স্থিতিশীল করার পরিবর্তে আরো অস্থিতিশীল করে। সুতরাং বন্ড ও মিচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে ভাল ভাবে যাচাই-বাছাই করে স্বীদ্ধান্ত নিন।

বাজার চিত্র : আপনাদের বোঝার জন্য ২ টা উদাহরন দিলাম


DBH1STMF
On the close of operation on March 25, 2010, the Fund has reported Net Asset Value (NAV) of Tk. 10.36 per unit on the basis of current market price and Tk. 10.35 per unit on the basis of cost price against face value of Tk. 10.00

-ফেব্রুয়ারী ২০১০ যাত্রা শুরু করে এই কম্পানির বর্তমান নিট মূল্য ১০'৩৫ টাকা (অর্থাত ইউনিট প্রতি আয় ০'৩৫ টাকা)। আর এই ১০'৩৫ টাকায় কেনা শেয়ার সমূহের বর্তমান বাজার মূল্য ১০'৩৬ টাকা। মানে তাদের পোর্টফলিও লাভে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর পরিমান ০'১% (বেজ ১০'৩৫)।

GRAMEEN1
On the close of operation on March 25, 2010, the Fund has reported Net Asset Value (NAV) of Tk. 54.98 per unit at current market price basis and Tk. 27.80 per unit at cost price basis against face value of Tk. 10.00 whereas Net Assets of the Fund stood at Tk. 934,625,271.00.

- ২০০৫ এ যাত্রা শুরু করে এই কম্পানির বর্তমান নিট মূল্য ২৭'৮০ টাকা (অর্থাত ইউনিট প্রতি আয় ১০'৮০ টাকা)। আর এই ২৭'৮০ টাকায় কেনা শেয়ার সমূহের বর্তমান বাজার মূল্য ৫৪'৯৮ টাকা। মানে তাদের পোর্টফলিও লাভে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর পরিমান ৯৭'৫% (বেজ ২৭'৮০)।

বর্তমানে GRAMEEN1 এর বাজার মূল ৯০ টাকা (যদিও একটু বেশি, আমার মতে সর্বোচ্চ ৭০ হওয়া উচিত। তবে আমাদের বাজারের নেচার অনুযায়ী ৮০-৮৫ )। এখন যারা মনে করছেন GRAMEEN1 এর ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর ইউনিট যদি ৯০ টাকা হয় তবে DBH1STMF এর ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর ইউনিট ত ৩০-৪০ টাকা হবে :) । এখন উপরের ব্যাখ্যাগুল বোঝার পর আপনিই বলুন ঐরকম ঘটনা ঘটার কি আদৌ কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা আছে ? হুজুগ আর মার্কেট ম্যানুপুলেশন হয়ত ক্ষনিকের জন্য এই অসম্ভবকে সম্ভব করবে (আমাদের বাজারে প্রায়ই করে :( ) কিন্তু তা কতদিন স্থায়ী হবে?

মনে রাখা উচিত মার্কেট ম্যানুপুলেশন হয়ত ক্ষনিকের জন্য কোন শেয়ারের দাম আকাশে বা পাতালে নামিয়ে দিতে পারে কিন্তু অবশ্যই তা ক্ষনস্থায়ী সময়ের জন্য। তাই ভাল মৌল ভিত্তির শেয়ার কিনুন লাভ বেশি না হলেও ক্ষতির শিকার হবেন না।



সূত্র

শেয়ার ব্যবসা - ৩: নিজেই তৈরী করুন নিজের পোর্টফলিও

শেয়ার ব্যবসা - ২: কোন শেয়ার কিনবেন? কিভাবে? কতটা?

শেয়ার কেনার চেক লিস্ট ১। P/E দেখুন। এটা অবশ্যই ১৬ বা তার নিচে হওয়া উচিত। যত কম তত ভাল :)
২। NAV দেখুন। এর সাথে বাজার মূল্যের একটা সামান্জস্ব থাকা উচিত। যার NAV ৩০০ টাকা তার বাজার মূল্য ৭০০ টাকার নিচে হওয়া উচিত।
৩। EPS দেখুন। এটা যত বেশি হবে ততই ভাল।
৪। মোট শেয়েরের সংখ্যা দেখুন। আর দেখুন তার কতটুকু পাবলিকের হাতে আছে। নিয়মিত গ্রহনযোগ্য মাত্রায় লেনদেন হয় এমন শেয়ারই কেনা উচিত।
৫। authorized capital আর Paid-Up Capita এর রেশিয়ো দেখুন। যদি ২ টা খুব কাছাকাছি হয় তবে ঐ কম্পানি কখনই কোন বোনাস শেয়ার দিবে না।
৬। গত ৩-৪ বছরের ট্রেক রেকর্ড দেখুন। কী পরিমান বোনাস দেয় তা দেখুন। বাৎসরিক গড় মূল্য দেখুন। চেষ্টা করুন এই মূল্যার কাছাকাছি দামে শেয়ার কিনতে।
৭। লাস্ট ৫-৬ মাসের খবর দেখুন (ডিএসই'র সাইটে প্রকাশিত)
৮। ডিএস ই এখন ৪ মাস পর পর কম্পানির আর্নিং রিপোর্ট দেয়। একটু মাথা খাটালেই বছর শেষে কি পরিমান লাভ করবে তা জানা সম্ভব।
৯। আর কম্পানির গুড উইল ও এর পরিচালকদের সামাজিক অবস্থান (রাজনৈতিক দইকটাও দেখবেন :) ) বিবেচনা করুন।


মনে রাখবেন বিক্রির সময় নয় বরং কেনার সময়ই আপনাকে লাভ করতে হবে। ব্যাক্তিগত ভাবে 'ডাউন মার্কেট' ই হল আমার প্রিয় বিনিয়োগের সময় :)

কি ভাবে কিনবেন ?

ধরুন আপনি শেয়াক ক এর ১০ টা লট কিনতে চান। সাধারনত আমরা এক বারেই ১০ টা লট কিনেফেলি :) আর এতে আমাদের লাভ বা লোকশানের ঝুকি অনেক অনেক বেরে যায়। বরং এক বারে ১০ লট না কিনে ৩-৪ বারে কিনুন - এই স্ট্রটেজিতে লাভের পরিমান কমে যাওয়ার (বুলিশ মার্কেটে) চান্স থাকলেও লসের পরিমান একদমই নেই। একে বলা হয় এভারেজিং টেকনিক।

বিক্রির ক্ষেত্রেও একই ফরমূলা :) সব একবারে বেচে না দিয়ে ২-৩ বারে বেচুন (বুলিশ মার্কেটে)।


কতটুকু কিনবেন ?

এটা নির্ভর করে আপনার পোর্টফলিও এর ডিজাইন ও তার বর্তমান অবস্থার উপর। সহজ কথায় এক কম্পানি ও এক সেক্টরের শেয়ার না কিনে ২-৩ সেক্টরের শেয়ার কেনা উচিত এবং প্রতি সেক্টরেরই ২-৪ টা কম্পানির শেয়ার আপনার পোর্টফলিওতে থাকা উচিত।


সূত্র

শেয়ার ব্যবসা - ১: যে ভাবে শুরু করতে পারেন ।

আমার অভিগ্যাতা খুব বেশি দিনের নয় মাত্র ২ বছরের। নেট ঘেটে আর বিভিন্ন ব্লগ/ পত্রিকা পড়েই শিখেছি এই বাজারের নিয়ম-কানুন। প্রসেসটা কষ্টসাদ্ধ :) ৬ মাস লেগেছিল অ,আ, ক, খ শিখতে আর রিসোর্সের সল্পতা ত ছিলই। আমাদের শেয়ার বাজারের মূল সমস্যা হল প্রচুর অজ্ঞ বিনিয়োগকারীর উপস্থিতি, এখানকার ৮০ ভাল লোক শিক্ষিত হলেও তাদের কত জন শেয়ার ও শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জ্ঞান রাখে বা জ্ঞান লাভের চেষ্টা করে তা এক আল্লাহই জানে। এদের বিনিয়োগের ভাব-সাব দেখে মনে হয় না কেউ জানার বা শেখার চেষ্টা করে। এই শিক্ষিত (!) লোকজন গুলর জন্যই মার্কেটের বেহাল দশা :( নিয়ম-নীতির ধার না ধেরে আমাদের মার্কেট তাই উঠা-নামা করে গুজব আর হুজুগের উপর।

তাই ভাবলাম এক জনকে না জানিয়ে না শিখিয়ে বরং আমার সীমিত জ্ঞান সবার সাথেই শেয়ার করি। আর এতে যদি কারো নূন্যতম কোন উপকার হয় তবে ক্ষতি কি ? এটা ত আর কেজি ওয়ান-টু র কোন পাঠ না যে শেয়ার করলেই ক্লাসের অন্য কেউ ফার্স্ট হয়ে যাবে :) :) তাহলে শুরু করা যাক -

১। যে ভাবে শুরু করতে পারেন-

প্রথমেই শেয়ার বাজারের প্রচলিত টার্মসগুল শিখুন -

Earning Per Share (EPS): earning of each share unit of a company.
Suppose company A's net earning (total earning -tax - operation cons ) is 100 TK and total number of share is 10. Thus the EPS= 100 TK/10 = 10 TK

শেয়ার প্রতি আয় - ধরুন কম্পানি ক এর নিট বাৎসরিক আয় ১০০ টাকা এবং মোট শেয়ারের পরিমান ১০ টি । সুতরাং শেয়ার প্রতি আয় হল ১০ টাকা । এটা যত বেশি হবে সেই শেয়ার তত বেশি লাভ দেবে।

Net Asset Value (NAV): Asset (such as matchings, buildings, land, deposit money ) value of each share. If company A has 100 share and its net total asset value is 10,000TK then NAV= 10,000TK/100 = 100TK

শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ - ধরুন কম্পানি ক এর নিট সম্পদ ১০০০ টাকা এবং মোট শেয়ারের পরিমান ১০ টি । সুতরাং শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ হল ১০০ টাকা । এটা যত বেশি হবে সেই শেয়ার তত ভাল এবং এর দাম ও বেশি হবে।

Price Earning Ratio (P/E): Ration of earning with price. Suppose company A's EPS is 20TK and its current price is 600TK thus P/E= 600TK / 20TK =30।

দাম ও আয়ের অনুপাত -ধরুন কম্পানি ক এর শেয়ার প্রতি আয় ১০ টাকা এবং মার্কেটে চলতি মূল্য ১৪০ টাকা । সুতরাং দাম ও আয়ের অনুপাত হল ১৪ । এটা যত বেশি হবে সেই শেয়ারে বিনিয়োগ করা তত খারাপ। সাধারনত এটা ১৬-২০ ক্রস করলে সেই শেয়ারকে ঝুকিপূর্ন ভাবা হয়। শেয়ার কেনার সময় এই অনুপান যত কম হয় ততই ভাল।

Face value : Inertial price of a share. - শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য
Market value: Current price of a share. - চলতি বাজার মূল্য

The authorized capital of a company (sometimes referred to as the authorized share capital or the nominal capital) is the maximum amount of share capital that the company is authorized by its constitutional documents to issue to shareholders. Part of the authorized capital can (and frequently does) remain un-issued.

-- কোন কম্পানির সর্বোচ্চ সম্পদের পরিমান (আপার লিমিট)।

Paid-Up Capital: The total amount of shareholder capital that has been paid in full by shareholders.

-- শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য অনুযায়ি সকল শেয়ারের মোট মূল্য

outstanding capital : The number of shares of capital stock that have been issued and that are in public hands. Outstanding stock excludes shares issued but subsequently repurchased by the issuer as Treasury stock. Outstanding stock is used in the calculation of book value per share and earnings per share. Also called shares outstanding, stock outstanding.

--> শেয়ারের প্রাথমিক মূল্য অনুযায়ি জনসাধারনের হাতে থাকা সকল শেয়ারের মোট মূল্য।

source: http://www.dseinvestor.tk (এই গ্রুপে আরো কিছু আছে
উৎসাহীরা মেমবার হতে পারেন, তবে অনেক দিন ধরে এটা ইনেকটিভ :( শেখার পাবলিক নাই :( ,আমি বেশ কিছু জিনিস এখান থেকে শিখেছি)

ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কিত পত্রিকা, ডিএসইর নিউজ পড়ুন - শেয়ার বাজারে থাকা কম্পানিগুলর খোজ-খবর এখানেই পাবেন।

আর যারা সেকেন্ডারি মার্কেটে যাবেন তারা বিনিয়োগ করার পুর্বেই বাজার স্টাডি করুন এবং আপনার স্কিল কতটা হলা তা যাচাই করুন-
এই প্রসেসটার নাম ভার্চুয়াল ট্রেডিং মানে কাগজে-কলমে কেনা কাটা :)

প্রথমেই মনে মনে ধরুন আপনার কাছে ১,০০,০০০ টাকা আছে । এবার আপনার পছন্দের শেয়ার গুল কিনুন :) (ভার্চুয়ালি) । লাভ হলে বেচুন আর লস হলে বাচার উপায় খুজুন। এই ভাবে ৩-৪ মাস ভার্চুয়াল ট্রেডিং করলেই আপনি বুঝতে পারবেন আসল মার্কেটে আপনার অবস্থা কেমন হবে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করবেন -

১। কোন শেয়ার কেনা উচিত তা কী ভাবে বুঝব ?
২। আর কতটুকু পরিমানেই বা কিনব ?


সূত্র