শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১০

শেয়ার বাজার-৮ : পতন থেকে বাচার উপায়

গেল দুই-তিন সপ্তাহ জুড়ে বাজার বেশ ভাল যাচ্ছে, তাই ধরে নিচ্ছি শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্ট সবার মন-মেজাজ বেশ ভাল :)। আমিও বেশ ভালই আছি পকেটের সাথে সাথে মন ভাল থাকার গ্রাফ ও উর্ধমূখী।

কিন্তু সমস্যা একটাই :) মন বেশী দিন ভাল থাকলে যেমন 'ভাল থাকা' -কে বোরিং মনে হবে ঠিক তেমনি ভাবে শুধু বুলিশ মার্কেটও বোরিং। আর কথায় আছে যা দ্রুত বাড়ে তার পতনও হয় দ্রুত। সুতরাং এই বুলিশ ট্রেনন্ডের পতন শুধু সময়ের ব্যপার, আমার ইন্সটিংক বলছে জুনের শেষ বা জুলাই এর শুরুতেই বাজার পড়তে শুরু করবে। কি? অনেকেই হয়ত ইতি মধ্যে আমাকে অভিশাপ দিতে শুরু করেছেন, মনে মনে বলছেন ভাল সময়ে একি অলুক্ষুনে কথা !

আমি কিন্তু বারিশ মার্কেট বেশ পছন্দ করি কারন বর্ষায় ইলিশ কেনার মত করে কম দামে রুই-কাতলা সাইজের শেয়ার পকেটস্থ করার জন্য ডাউন মার্কেটই হল আদর্শ সময় :)। কি বিশ্বাস হচ্ছে না, হয়ত ভাবছেন বেটা পাগল নাকি লসের টেনশনে যেখানে অস্থির খাকার কথা সে সময় বেটা নাকি থাকে ফুর্তিতে !

এবার আমার ফুর্তিতে থাকার সিক্রেটগুল আপনাদের জানাই, ঠিক মত এপ্লাই করতে পারলে আপনিও যে ফুর্তিতে থাকবেন তা নিশচিত।

টেকনিক-১ : এভারেজিং : এর আগে পোর্টফলিও ডিজাইনের ক্লাসে (সরি পোস্টে। এটা নিয়ে লিখতে বসলে নিজেকে কেমন যেন মাস্টার মাস্টার মনে হয় :( পাঠকরা কিছুই শেয়ার করে না, আমি সব জানি এমনত নয়; ২-১ টা টেকনিক আমারেও শেখান .........নাইলে কিন্তুক কেলাশ বনধ X(( X(( ) বলেছিলাম যে পোর্টফলিও ছোট হলে (৩ লাখের কম) ১০% আর বড় হলে ১৫% টাকা কেশ হিসাবে বিও একাউন্টে রাখবেন । যখন দেখবেন যে আপনার শেয়ারের দাম কমছে তখন চোখ রাখুন, লস ১০% টপকালেই লাল বাত্তি মানে আপনাকে কিছু একটা করতে হবে। যদি আপনি এভারেজিং করতে চান তবে কেশ টাকা থেকে একই শেয়ার আবার কিনুন যাতে গড় দাম কমে আসে। একবারে না কিনে ছোট ছোট লট আকারে কিনুন। একটা ব্যপার লক্ষ করবে যে ডাউন মার্কেটেও ২-১ দিনের জন্য আপনার শেয়ারের দাম বেশ বারছে-কমছে, ঠিক তখন ঐ দিনের দাম যদি আপনার আগে কেনা কোন লটের দামের চেয়ে ৫% বা তার বেশি হয় তবে বেচে দিন, দাম আগের স্থানে এলে আবার কিনুন। এভাবে এভারেজিং করে করে বেশী দামে কেনা শেয়ারের দাম কমিয়ে আনা যায়।

টেকনিক-২ নেটিং: ধরুন আপনার কোন কেশ নাই (খুবই খারাপ কথা X( পাবলিকরে শেখাইলেও শেখে না :) ) তখন আপনাকে করতে হবে নেটিং । বেশী উঠা-নামা করে এমন শেয়ারের জন্য আদর্শ টেকনিক। ধরুন সকালে যার দাম ১০ টাকা অনেক সময় বিকালেই তা ১৫ টাকায় চলে আসে আবার সলালে যা ৩০ টাকা দিন শেষে তা ২০ টাকায় নামে । এমন হলে একই দিনে কম দামে ২-৩ লট কিনুন এবং বেশী দামে হাতে থাকা ২-১ লট বেচুন। কেনা-বেচা করে গড় দাম কমিয়ে আনুন।

শেষের উপায় টা কোন টেকনিকের পর্যায়ে পড়ে না এবং এটা বেশ রিস্কি। যখন দেখবেন আপনার লস ১৫% ক্রস করেছে তখন তা দ্রুত বেচুন এবং কমদামে তুলনামূলকা ভাল ও নিশচিত লাভ হবে এমন শেয়ার (ব্যাংক এ ক্ষেত্রে আদর্শ) কিনে মার্কেট আপওয়ার্ড হবার জন্য অপেক্ষা করুন যাতে আপনি ১৫% লস কাটিয়েও লাভের মুখ দেখতে পারবেন।


এই টেকনিকগুল অবশ্য এমেচার বা সেমি প্রফেশনাল ইনভেস্টরদের জন্য উপযুক্ত। শেয়ার বাজার যাদের একমাত্র আয়ের উৎস তাদের পক্ষে প্রথম ২ টা টেকনিকই উপযুক্ত। আশা করি আগামী জুলাই-আগস্টে বাজার ডাউন হলে আর ভয় পাবেন না। আর জানেনত ঐতিজ্যগত ভাবেই আগস্ট-অক্টোবর হল ডিএসই র জন্য ডাউন টাইম :) তাই প্রস্তুন (কেশ হাতে রাখুন) হোন শীত আসে গেছে প্রায় হা হা হা ।



সূত্র

৩টি মন্তব্য:

  1. ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভাল কিছু শিখতে পারলাম নতুন হিসেবে । আরোওে জানতে চায়। আপনার থেকে

    উত্তরমুছুন
  2. শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পড়ে ভালো লাগলো। আমি সম্প্রতি একটি ব্লগ সাইট পড়েছি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বাংলাতে যদি আপনাদের ইচ্ছা হয় আপনারা এখানে গিয়ে পড়তে পারেন শেয়ার মার্কেট কি? কিভাবে শেয়ার মার্কেটে টাকা লাগাতে হয়।

    উত্তরমুছুন