শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১০

শেয়ার বাজার-১২: DSE'র লেভেল প্লেইং ফিল্ড ও আমাদের গিনিপিক হয়ে বেঁচে থাকা

২১ শে জুলাই, বুধবার
সাধারণ সূচক: (২৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে) ৬৪৯৫ পয়েন্টে
২২ শে জুলাই, বৃহস্পতিবার
সাধারণ সূচক: (৯০ দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে) ৬৪০৭ পয়েন্টে
২৫ শে জুলাই, রবিবার
সাধারণ সূচক: (২০৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে) ৬২০০.২১৬১২ পয়েন্টে
২৬ শে জুলাই, সোমবার
সাধারণ সূচক: (১২৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে) ৬৩২৫.৭৮ পয়েন্টে


ডিএসই'র গত চার কর্মদিবসের সাধারণ সূচক। শেয়ার মার্কেটে উঠ-নামা থাকবে এটা চিরন্তন নিয়ম। কিন্তু এই উঠ-নামা যদি মানব সৃষ্ট হয় তবে তা নিশচিত ভাবেই নিন্দনিয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এই নিন্দনিয় কাজটি যদি খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থাই করে তবে তাদের শাস্তি নিশচিত করবে কে ?

উপরের ডাটাগুল দেখুন বৃহস্পতি-রবি এই দুই দিনে ২৯০ পয়েন্ট সূচক হারিয়েছে ডিএসই শুধু মাত্র এর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্বুদ্ধিতার কারনে। গত মাস ২ ধরে বাজার বেশ উর্ধগামী ছিল, ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেই চাইছিলাম কিছু মূল্য সংশোধন হোক। ডিএসই ও চেষ্টা করছে নান ভাবে
১। লোন-মার্জিন ১: ১'৫ থেকে ১:১ করে
২। লোন সুবিধা পিই ৬০ থেকে পই ৪০ এ কমিয়ে আনা
৩। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজে সর্প্রাইজিং ভিজিট
৪। ২৭০০ টপ ইনভেস্টরের পোর্টফলিও তলব
৫। লোন সুবিধা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ১০ কোটি ও ব্রোকারেজ হাউজের জন্য ৫ কোটি টাকা নির্ধারন। যার ইতিমধ্যেই তা ক্রস করেছেন তা ৩১ শে আগষ্টের মধ্যে সমন্বয় করা।
৬। লোন সুবিধা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য ১০ কোটি ও ব্রোকারেজ হাউজের জন্য ১০ কোটি টাকা নির্ধারন। যার ইতিমধ্যেই তা ক্রস করেছেন তা ৩১ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমন্বয় করা।

শেষ ৫ নং সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় গত বুধবার যা কার্যকর হয় রবিবার। আর ৬ নং সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় গত রবিবার (সোমবার থেকে কার্যকরী হয়েছে ) যার কারন হিসাবে বলা হয় মার্চেন্ট ব্যাংকের ও ব্রোকারেজ হাউজের মধ্য লোনমার্জিনের ক্ষেত্রে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করা। অথচ ৫নং আদেশের ফল স্বরুপ বৃহস্পড়িবার ৯০ ও রবিবার ২০০ পয়েন্ট সূচক হারায় ডিএসই। ডিএসই বরাররই এই বলে বাজারে নাক গলায় যে তারা ক্ষুদ্র বিনীয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বাজারে হস্তক্ষেপ করেন ! তাহলে তারা কি এটা জানেন না যে ক্ষুদ্র বিনীয়োগকারীদের সংখ্যা মার্চেন্ট ব্যাংকের তুলনায় ব্রোকারেজ হাউজেই বেশি ? তবে কাদের স্বার্থের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজের লোনমার্জিনে তারা বৈসম্য সৃষ্টি করলেন? কোন ব্রোকারেজ হাউজে থাকা বিনীয়োগকারীদের বাদ্ধ করলেন তাদের মাত্র ৩৮ দিনের নোটিশে লোন মাত্রা ৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনতে ?

ফল যা হবার তাই হয়েছে সবাই শুরু করলেন তাদের শেয়ার বিক্রি যাতে লোন সমন্বয় করা যায়। ফলে ৯৬ এর মহাপ্রলয়ের পর শেয়ার মার্কেটে একদিনে ২০০ পয়েন্ট পতনের রেকর্ড হয় গত রোববার। অর্থাৎ এক দিনেই বাজার হাড়ায় প্রায় চার হাজার কোটি টাকা । আর এক মূল স্বীকার যে হয়েছেন খুদ্র বিনীয়োজকারীরা তা নিশচিত ভাবেই বলা যায়। ভাগ্য ভল যে আজ মূল্যসূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়েছে।

অর্থাৎ ৪ দিনের মাতাব্বরিতে বাজার হারিয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। সব ঠিক থাকলে হয়ত এ সপ্তাহেই তা কাভার-আপ হয়ে যাবে (যারা শেয়ার বিক্রি করেন নি) কিন্তু ভয় পেয়ে যারা রবিবার তাদের শেয়ার বিক্রি করেদিলেন তাদের কি হবে ? তারা যে অর্থ হারালেন তার দায় কি ডিএসই নেবে ? এভাবেই কি ক্ষদ্রবিনীয়োগকারীরা ডিএসই'র গিনিপিক হয়ে বার বার এস্কপেরিমেন্টের স্বীকার হবে ? আইন-আদালত, এসইসি, সরকার তাদের কি কারই দেখায় চোখ নেই না কি তারা দেখতে চান না ?


সূত্র

1 টি মন্তব্য:

  1. অনুমতি ছাড়াই আমার লেখাগুল নিজের নামে হুবহু চালিয়ে দেয়া কি ঠিক? অনুগ্রহ করে আমার লেখাগুল সরিয়ে ফেলুন।

    উত্তরমুছুন