বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

শেয়ার বাজারের অ, আ, ক, খ

শেয়ার কি?

“এক কথায় বলতে গেলে কোনো কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার উদ্দিষ্ট প্রাথমিক মূলধনকে কতোগুলো ছোট অংশে ভাগ করে জনগণের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়, এই প্রত্যেকটি অংশকে এক একটি শেয়ার বলে।“

কিভাবে শুরু করা যায়

প্রাপ্ত বয়স্ক মানে ১৮+ যে কেউ শেয়ার ব্যবসায় আসতে পারেন। তবে তার জন্য প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো ব্যাংকে সঞ্চয়ী (savings) হিসাব খুলতে হবে। এরপর সেই ব্যাংক হিসেবের বিপরীতে CDBL (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের) অধীনে বিও (বেনিফিসিয়ারি অনার) একাউন্ট খুলতে হবে। মানে সোজা বাংলায় আপনি যে কোনো ব্রোকার হাউসে থেকে এ বিও একাউন্ট খুলতে পারেন। এ বিও একাউন্ট খোলার পর একজন বিনিয়োগকারী প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি উভয় মার্কেটে শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন।

বিও একাউন্ট খুলতে যা লাগবে

    ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
    ব্যাংক সার্টিফিকেট/ভোটার আইডি/পাসপোর্ট।
    একজন আইডিটেন্টি ফাইয়ার।
    পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
    একজন নমিনি।
একজন বিনিয়োগকারী দুটির বেশি বিও একাউন্ট খুলতে পারেন না। সেজন্য তাকে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা দিতে হবে। মানে ব্রোকার হাউজ বিশেষ এই দর কম বেশি হয়।

প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার এর পার্থক্য

প্রত্যেক বছর বেশ কিছু কোম্পানি IPO (ইনিশিয়াল পাবলিক অফার ) দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হয়। একটি কোম্পানি যখন প্রথমবারের মতো বাজারে প্রবেশ করে বা শেয়ার বাজারে ছাড়ে তাকে প্রাইমারি শেয়ার বলে। যখন আপনি B.O. Account খুলবেন, তারপর আপনাকে ঐ কোম্পানীর প্রাইমারী শেয়ারের আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে এবং ঐখানে যেসব ব্যাংক এর লিস্ট থাকবে তার যে কোন একটি ব্যাংক এ তা জমা দিতে হবে। আর যেটাই করেন না কেন, সবকিছুই করতে হবে আপনার একটি Broker House এর মাধ্যমে।
প্রাইমারি শেয়ার একবার বাজারে বিক্রি হয়ে গেলেই তা সেকেন্ডারি হয়ে যায়। তখন সেটা সেকেন্ডারি মার্কেট চলে আসে আর সেই শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ার বলে গণ্য করা হয়। সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি ইচ্ছা মতো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন। পুঁজি ও ঝুঁকি কেমন বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে বর্তমানে দুটা ক্যাটাগরিতে শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে। প্রাইমারি(আইপিও) এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি শেয়ারের জন্য আবেদন করতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না।
প্রাথমিক শেয়ারের ক্ষেত্রে ঝুঁকি খুবই কম। সেকেন্ডারি মার্কেটে লাভের সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি ঝুঁকিও বেশি আছে। না বুঝে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করা ঠিক নয়। তাই কোনো রকম গুজবে কান না দিয়ে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করাই ভাল। পেশাদার সেকেন্ডারি ব্যবসায়ী বেশি টাকা নিয়া শুরু করতে হবে।

বাংলাদেশে শেয়ার বাজারে শতকরা ১০০ জন এর মাঝে

• ৪০ শতাংশ বাজারের কিছুই জানেন না।
• ৫০ শতাংশ কিছু কিছু জানেন।
• আর ১০ শতাংশ আছেন যারা মোটামূটি পূরো বাজার নিয়ন্ত্রন করেন।
এই প্রসঙ্গে উইলিয়াম আর্থার ওয়ার্ড বলেছেন, ‘ইনভেস্টিগেট বিফোর ইনভেস্ট’

কিছু প্রয়োজনীয় লিঙ্ক

ডিএসই
or
সিএসই
এসইসি
এসইসি ও ডিএসই এর সার্কুলার
http://dse.com.bd/sec&dsecircular.php
সিডিবিএল
গ্লোবাল স্টক মার্কেট এড্রেস
আইপিও- লটারি নিউজ
http://dse.com.bd/ipo_lottery_result.php
সার্কিট ব্রেকার
শেয়ার কেনার আগে যেগুলো দেখে নিতে হয়
P/E দেখুন। শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানির মূল ভিত্তি দেখে কেনা।
• NAV দেখুন। এর সাথে বাজার মূল্যের একটা সামাঞ্জস্য থাকা উচিত।
• EPS দেখুন। যে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বেশি এবং নেট অ্যাসেট ভ্যালু বেশি।
• মোট শেয়ারের সংখ্যা দেখুন। আর দেখুন তার কতটুকু পাবলিকের হাতে।
• authorized capital আর Paid-Up Capita এর রেশিয়ো দেখুন।
• গত ৩-৪ বছরের ট্রেক রেকর্ড দেখুন। কোম্পানির ব্যালেন্স সিট সম্পর্কে ধারণা রাখা।
• দেশি-বিদেশি শেয়ার মার্কেটের ওপর জ্ঞান রাখা এবং
• যে কোনো ধরনের গুজব এড়িয়ে চলা।
• কোম্পানির পণ্যের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা। মনে রাখবেন বিক্রির সময় নয় বরং কেনার সময়ই লাভ করতে হ্য়।

শেয়ার বাজারের প্রচলিত টার্মসগুল

Earning Per Share (EPS): earning of each share unit of a company.
Net Asset Value (NAV): Asset (such as matchings, buildings, land, deposit money ) value of each share.
Price Earning Ratio (P/E): Ration of earning with price.
Face value : Inertial price of a share.
Market value: Current price of a share.
The authorized capital: of a company is the maximum amount of share capital that the company is authorized by its constitutional documents to issue to shareholders.
Paid-Up Capital: The total amount of shareholder capital that has been paid in full by shareholders.
outstanding capital : The number of shares of capital stock that have been issued and that are in public hands.
আর বাংলাদেশে এর প্রচলিত আইনে কাউকে শেয়ার কিনতে উৎসাহ দেয়া যায় না।
আমি আপনাদের কে নিজে থেকে বুঝে তারপর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করবো।

1 টি মন্তব্য:

  1. আমার ইসলামী ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক,ফরিদগঞ্জ শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খোলা আছে, ব্যাংক এশিয়ায় বিও অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে কি? এবং উল্লেখিত সঞ্চয়ী হিসাব হতে লেনদেন সম্ভব কি না? নাকি ব্যাংক এশিয়াতেও সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে? আর শেয়ার ক্রয়ের/বিক্রয়ের নির্দেশনা কি মোবাইলে দিতে হবে ?

    উত্তরমুছুন